তরুন বা একিউট রোগের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রার সঠিক ঔষধ দ্রুত রোগ সারায়। কিন্তু ক্রণিক বা পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে রোগ সারতে বিলম্ব হয়।
এখন দেখা যাক তরুন বা পুরাতন রোগ সারতে কেন বিলম্ব হয়:
তরুন রোগ সারতে বিলম্বের কারণ (রোগী ও চিকিৎসকের ত্রুটি) –
১. সঠিক ঔষধ প্রয়োগ না করা বা নিম্নমানের ঔষধ প্রয়োগ করা।
২. সঠিক মাত্রায় ঔষধ ব্যবহার না করা।
৩. রোগ উৎপত্তির উত্তেজক কারণ দূর না করা। যেমন: সর্দির চিকিৎসা করার সময় ক্রমাগত ঠান্ডা লাগানো, আমাশয় চিকিৎসা করার সময় ক্রমাগত গুরুপাক ভোজন।
৪. তরুন রোগ পুরাতন আকার ধারণ করা, এর জন্য প্রয়োজন ছিল ধাতুগত চিকিৎসা।
৫. রোগ নিরাময়ের জন্য পথ্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সতর্ক না হওয়া।
পুরাতন রোগ সারতে বিলম্বের কারণ (রোগী ও চিকিৎসকের ত্রুটি না থাকলেও) –
১. পুরাতন রোগ রোগীর শরীর ও মনের গভীর স্তরে থাকে। রোগ যত পুরাতন হয় তা সারতেও তত বিলম্ব হয়।
২. পুরাতন রোগের পিছনে এক বা একাধিক রোগবীজ বা মায়াজম থাকে। একটিমাত্র ঔষধ দিয়ে সব সময় এই মায়াজম দূর করা যায় না। তাই পুরো চিকিৎসা চলাকালীন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। আর এই মায়াজমিক ঔষধগুলি সাথে সাথে কাজ করে না; ঔষধের ক্রিয়া প্রকাশ করতে বিলম্ব হয়। আর ক্রিয়া প্রকাশ করলেই সকল লক্ষণ একসাথে দূর হয় না; কিছু লক্ষণ থেকে যায়। তখন ভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ, মাস এমনকি কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
Nice