স্ট্র্যামোনিয়াম (Stramonium)
পরিচয়।-অপর নাম ডেটুরা-স্ট্রামোনিয়াম – আমাদের দেশীয় ধুতুরা।
ব্যাবহারস্থল।-মস্তক ও স্নায়ুমন্ডলের ক্রিয়া। সন্ন্যাস রোগ, তান্ডব, প্রলাপ, জলাতঙ্ক, শিরঃরোগ, আলোকাতঙ্ক, মৃগীরোগ, পক্ষাঘাত, ভয়জনিত আক্ষেপ, বক্রদৃষ্টি, তোলামি, ধনুষ্ঠঙ্কার, বাকরোধ, উন্মাদ, সান্নিপাতিক জ্বর, চোয়াল-আটকান প্রভৃতি।
ক্রিয়াস্থল। -মন ও মস্তিষ্কের উত্তেজনা জন্মিয়া উন্মাদের ভাব, বিকার ইত্যাদি; চর্মের উপর ক্রিয়াধিক্য, চোখ কনীনিকার উপর ক্রিয়া, স্পর্শশক্তির হ্রাস; ইন্দ্রিয়ের উত্তেজনা; স্নায়ুমন্ডলের ও মূত্রগ্রন্থির উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে।
প্রদর্শক লক্ষণ।-ভীষণ প্রলাপ, প্রলাপে জন্তু-জানোয়ার দেখতে পায়। অনবরত কথা কহে, হাসে, গান করে, শপথ করে, প্রার্থনা করে, কবিতা বলে বা ছড়া কাটে। ভূত দেখে। ভূতের সঙ্গে কথা বলে। আনন্দ শীঘ্রই নিরানন্দে পরিণত হয়। ভাবে সে লম্বা হয়েছে। দুইজন হয়েছে। একলা থাকতে চায় না। অন্ধকারে থাকতে চায় না। প্রলাপের সাথে পলাইতে চেষ্টা করে। বিড় বিড় করে বা অনবরত চীৎকার করে। মাতালদের মানসিক বিকার। অজ্ঞান, নিজের আত্মীয়দের ভুলে যায়। চিনিতে পারে না। কাল দ্রব্য, কাল লোক, কাল মেঘ দেখে। হাত বাড়াইয়া কিছু ধরতে চেষ্টা করে। সমস্ত বস্তু কাল দেখে। বালিশ হতে বার বার মাথা উঠায়। মুখমন্ডল গরম, লাল। মুখে ভীতির চিহ্ন। মুখ শুষ্ক বা মুখ হতে চটচটে আঠার মত লালা বের হয়। তোৎলামি। মুখ নাড়ে যেন কিছু চিবাচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যে স্বাদ নেই, যেন খড় খেতেছে। বমি করে সবুজ পিত্ত ও মিউকাস। প্রস্রাব বন্ধ। সর্বদা লিঙ্গে হাত রাখে। প্রসাবের পর তড়কা। বাঁ ঊরু সন্ধিতে ভয়ানক যন্ত্রণা। ঘাম প্রচুর, কিন্তু তাতে উপশম হয় না। হস্তমৈথুনের জন্য মৃগীরোগ। সমস্ত শরীর স্পর্শকাতর
বিকার।-রোগী হাসে, গান গায়, কবিতা আবৃত্তি করে, ঠাট্টা করে, চীৎকার করে, করুণ ভাবে প্রার্থনা করে এবং হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে বিছানা হতে উঠে বসে ও ভয়ে চীৎকার করে উঠে। সে মনে করে যেন সে অত্যন্ত দীর্ঘাকৃতি হয়েছে, যেন তার শরীর একটি নয়-দুইটি (এমন লক্ষণ সাধারণতঃ স্ত্রীলোকদেরই বেশী হয়, পুরুষদের হলে অ্যানাকার্ডিয়াম উপযোগী)। পেট্রোলিয়াম রোগী মনে করে তার প্রত্যঙ্গ সকল সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়েছে। আবার কখনও ধর্মবিষয়ক বক্তৃতা করে। বিকারের ভিতর হতে সে নানাপ্রকার বিভীষিকাপূর্ণ পদার্থ দেখতে পায়, কাল্পনিক ছায়ামূৰ্ত্তি দেখতে চায়, ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর প্রভৃতি জন্তুর ছায়ামূর্তি দেখে পলাবার চেষ্টা করে। বেলেডোনায় বিকারের ভিতর নানাপ্রকার মূর্ত্তি দেখে পলাবার চেষ্টা করে, এমন কি জানালা দিয়ে লাফাইয়া পৰ্য্যন্ত পড়ে; বেলেডোনা রোগীর মাথায় অত্যধিক রক্তসঞ্চয়ের জন্য মাথা অত্যন্ত গরম হয়, চোখ-মুখ রক্তবর্ণ হয়, দুই দিকের রগের ভিতর দপদপ করে; দাঁত কড়মড় করে, অন্যকে প্রহার করে। বেলেডোনার মত সাংঘাতিক ধরনের বিকার ষ্ট্যামোনিয়ামে নেই। হায়োসায়েমাসের বিকারে স্ট্র্যামোর মত উন্মত্ততা নেই। হায়োসার রোগী বিড়বিড় করে বকে, হাতের আঙ্গুলের দ্বারা বিছানার চাদর খোঁটে; আচ্ছন্নভাবে থাকে, অশ্লীল গান গায়, গায়ের ঢাকা ফেলে দেয়। বিকারে ট্র্যামো – বেল ও হায়োসার মধ্যবর্ত্তী ঔষধ। বিকারের বর্ধিত অবস্থায় ট্র্যামোর রোগী কাকেও চিনিতে পারে না, সে মোহাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকে। এই রোগীর স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে যায়। ডাঃ ফ্রাঙ্ক বুলেন যে, স্মৃতিশক্তিহীনতায় অ্যাকোন, ক্রিয়ো, ল্যাকে, নেট্রাম-মিউর, ট্র্যামো এই ঔষধগুলিকে সর্বদা মনে রাখতে হবে। ট্র্যামোর রোগী দুই-চারটি কথা বলতে না বলতে বক্তব্য বিষয় ভুলে যায়; নিজের ক্ষীণ স্মৃতিশক্তির জন্য কাঁদতে থাকে। সূর্য্যাঘাতের পর স্মৃতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে গেলে ট্র্যামো ব্যবহাৰ্য্য।
জলাতঙ্ক রোগ।-রোগী কোন প্রকার চাকচিক্য জিনিষ দেখিলে বা পানির ভিতর ছায়া দেখিলে চীৎকার করে উঠে বা কুকুরের মত ডাকিতে থাকে কিংবা কামড়াতে চায়; এই সময় তার মুখ শুষ্ক হয়, চোখতারকা প্রসারিত হয়, সে অনবরত কথা বলতে থাকে। তুলনীয়। হাইড্রোফোবিনাম-এটা প্রধান এবং বিশিষ্ট ঔষধ; যে কোন অবস্থাতেই ব্যবহৃত হতে পারে। তবে প্রথম অবস্থায় সাধারণতঃ বেলেডোনার লক্ষণ পাওয়া যায় এবং তাই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেলেডোনার পরে হাইড্রোফোর্বিনাম কার্যকরী। অ্যানাগেলিস পানি বা কোন চকচকে দ্রব্য দেখে রোগী ভয় পায়, পাগলের মত লক্ষণসকল প্রকাশ করে। ককসিনেলা-কাঁচ বা কোন চকচকে জিনিষ দেখে রোগী ভয় পায়, পাগলের মত হয়, ট্র্যামোনিয়ামের মত পাগল বা বিকারের লক্ষণে হায়োসায়েমাসও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
উন্মাদরোগ।-অস্বাভাবিক নৃত্য করে, গান গায়, অতিরিক্ত কথা বলে, হাতের নানাবিধ ভঙ্গী করে, আবার কখনও ক্রোধে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে অত্যধিক চীৎকার করে, কামড়ায় ও আঁচড়াইয়া দেয়; চোখের তারা বড় ও উজ্জ্বল হয়, চেহারা দেখিলে ভয় হয়। আবার রোগী কখনও ভয় পেয়ে পলাবার চেষ্টা করে। কোনও রোগীর ভক্তিভাব জাগরিত হয়, তখন সে যুক্ত করে ভগবানের নিকট প্রার্থনা করে। সর্বদাই শুয়ে থাকতে ভালবাসে। চলতে গেলে টলে পড়ে।
স্ত্রীলোকদের কামোন্মত্ততা। যে সকল রমণী সুস্থাবস্থায় সতীসাধ্বী থাকে, উন্মাদরোগে তাদের যে কিরূপ কামপিপাসা বৰ্দ্ধিত হয় তা বর্ণনা করা যায় না। রোগিণী অনবরত অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং ভীষণ ভাবে কামের ভাব জ্ঞাপন করে; তার শরীর হতেও বিশ্রী গন্ধ পাওয়া যায়। ঋতু হওয়ার পূর্বে কামভাব আরও বর্দ্ধিত হয়। ওরিগেনাম রমণীদের কামোন্মাদ ও প্রেমোন্মাদ হয়ে থাকে। এটার রমণীদের দুর্নিবার কৃত্রিম মৈথুনের আকাঙ্ক্ষা। তুলনীয়।– প্ল্যাটিনা-তলপেট এবং যোনিদেশ সুড়সুড় করে উঠে, কামের উত্তেজনা হয়, সময়ে সময়ে এত বেশী হয় যে, রোগিণী যাহাকে সম্মুখে পায়, তাকেই আলিঙ্গন করতে চায়। ক্যালাডিয়াম- মলদ্বারের ছোট ক্রিমি অনেক সময় যোনিমধ্যে প্রবেশ করে উত্তেজনা জন্মায়, এমন অবস্থায় এটা ফলপ্রদ ঔষধ। মিউরেক্স-অভিমানী ও স্নায়ুপ্রধান, বিমর্ষ, ভীত উদ্বেগপূর্ণ স্ত্রীলোকদের কামেচ্ছা অত্যন্ত প্রবল। সামান্য স্পর্শে তাদের কামপ্রবৃত্তি জাগিয়া উঠে। বেশী হলে অনেক সময়ে জ্ঞান- বুদ্ধি লোপ পায়। পুরুষদের এমন ভাব হলে, অর্থাৎ কোন রমণী চলে যাচ্ছেদেখলেই কামভাব জাগরিত হলে বিউফো, ক্যালাডিয়াম।
শিশুদের তড়কা। -হাম, বসন্ত বা অন্য কোন উদ্ভেদ বসে গিয়া তড়কা হলে ট্র্যামোনিয়াম উপযোগী ঔষধ। এই সকল ক্ষেত্রে কুপ্রামও চমৎকার ঔষধ; তবে কুপ্রামে খিলধরার ভাবটা বেশী এবং রোগীর শরীর নীলবর্ণ হয়ে যায়। ট্র্যামোর শিশুর শরীর তড়কার সময় লাল বর্ণের হয়, সেইসঙ্গে তার সমস্ত শরীর গরম ও ছটফট করে, ঘুমাতে ভয় পায় ও কাঁদিয়ে উঠে এবং নিকটে যাহাকে পায় তাকে জড়িয়ে ধরে। তড়কায় বেলেডোনা ও ট্র্যামো উভয় ইবিশেষ ফলপ্রদ। সাইকিউটা-শিশুদের তড়কায় আর একটি উৎকষ্ট ঔষধ। ক্রিমিধাতুগ্রস্ত শিশুদের ভড়কা বা ক্রিমি জনিত তড়কা। তড়কা প্রবল, ঘাড় এবং মাথা ধনুকের মত পিঠের দিকে বেঁকে যায়, শিশুদের দাঁত উঠবার সময়ে তড়কা। তড়কায় অঙ্গের নানাপ্রকার বিকৃতি এটার অপর একটি বিশেষ লক্ষণ। সামান্য স্পর্শে, নড়াচড়ায় বা গোলমালে তড়কার বৃদ্ধি। ক্রিমিজনিত তড়কায়-সিনা, ইন্ডিগো, অ্যাটিষ্টা-ইন্ডিকা উপযোগী।
টাইফয়েড।-ডাঃ ন্যাশ বেল, হায়ো ও ট্র্যামোকে “ট্রাইও-ডিলিরিয়াস” আখ্যা দিয়েছেন। বিকারে বেলেডোনা প্রচণ্ড ভাব ধারণ করে, অর্থাৎ কামড়ায়, থুতু দেয়, লাফাইয়া পড়ে, চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়; হায়োসা বিকারের ভিতর প্রফুল্ল থাকে, বিড়বিড় করে বকে, সমস্ত শরীরের ঢাকা ফেলে দিয়ে উলঙ্গ হয়ে পড়ে থাকে। ট্র্যামোর প্রলাপের সময় রোগীকে দেখিলে মনে হয়, যেন সে পাগল হয়ে গেছে।
ম্যালেরিয়া-জ্বর।-জ্বরের আক্রমণ বেলা ১২টার সময় আরম্ভ হয়ে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত থাকে; প্রথম মুখ ও মাথা গরম হয়, পরে সর্বাঙ্গ গরম হতে থাকে; শরীর ভয়ানক ভাবে উত্তপ্ত হয়, সেইসঙ্গে অন্তর্যাতনা ও উদ্বেগ খুব দেখা যায়। প্রচন্ড জ্বরের সময় তার মাথা ঘোরে, ভুল বকে ও তড়কা হয়। জ্বরের সময় রোগী অন্ধকারে একলা থাকতে ভয় পায়, উজ্জ্বল চকচকে জিনিষের দিকে তাকালে অথবা কেউ তার গায়ে হাত দিলে চমকে উঠে। তার প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়ে থাকে, সেইসঙ্গে পিপাসা, উদরাময়, পেটফাপা এবং পেট বেদনা থাকে; জিহবা ফোলা ফোলা ও শুষ্ক। শিশুদের জ্বরেও এটা ব্যবহার্য্য ঔষধ। জ্বরের ভিতর শিশু হঠাৎ চমকিয়ে চীৎকার করে কাঁদিয়ে উঠে, হাত-পায়ের পেশীসকল কাঁপতে থাকে, চোখ আধবোজা থাকে, চোখ তারা বড় হয়।
উদরাময়। -প্রধানতঃ টাইফয়েড ও সূতিকা-জ্বরে উদরাময়। এটার মল অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত, পাতলা ও কালবর্ণের, কখনও হরিদ্রাবর্ণের। মলত্যাগের সময় পেটে বেদনা ও প্রচুর ঘাম এবং বাহ্যে হতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বের হওয়াই এটার বিশেষত্ব। শিশুদের জ্বরের সাথে উপরোক্ত রূপ উদরাময় থাকলে ট্র্যামোনিয়াম আরও কার্যকরী ঔষধ।
প্রস্রাব।-টাইফয়েড জ্বরে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে বিকারের লক্ষণ বেশী হলে এটা দ্বারা চমৎকার ফল পাওয়া যায়। ষ্ট্যামো রোগীর প্রস্রাব ধীরে ধীরে, বিন্দু, বিন্দু অথবা ক্ষীণ স্রোতে বের হয়। রোগীর অসাড়ে তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাবও হয়, প্রস্রাবের পরই পুনরায় তার প্রস্রাবের বেগ আসে।
তোতলামি।-রোগীর জিহবা ফুলা ফুলা, আড়ষ্ট ও শুষ্ক। সে সহজে তার জিহবা নাড়িতে পারে না (ক্যাটে, হেলিবো, ল্যাকে); অনেক চেষ্টা এবং অনেক রকমের মুখভঙ্গি করার পর সে তার কথা উচ্চারণ করে (বোভিষ্টা, স্পাই)।
শিরঃরোগ।-রোগীর মাথা অত্যন্ত ঘুরে; সে অন্ধকারে মোটেই চলতে পারে না, চলতে গেলে টলতে থাকে, মনে হয় সে অত্যধিক মদ্যপান করেছে। দুপুরবেলা এত সাংঘাতিক যন্ত্রণা হতে আরম্ভ হয় যে, মাথা দেওয়ালে ঠুকিতে আরম্ভ করে।
বিসর্প।-বিকারের লক্ষণ উপস্থিত হলে সাধারণতঃ আমরা বেলেডোনার কথা চিন্তা করি, কিন্তু যদি আক্রান্ত স্থানে পচন আরম্ভ হয়ে রোগীর জ্বর হয় ও বিকারের লক্ষণসকল প্রকাশিত হয়, তখন ষ্ট্ৰামোনিয়াম প্রয়োগ করতে হয়। রাস-টক্সও বিসর্গ রোগের উত্তম ঔষধ; আক্রান্ত স্থান লালচে হয়ে ফোস্কা হয়। ট্র্যামোতে ছটফটানি, বিকার ভাব, ভয় পেয়ে চীৎকার করা বেশী।
শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি। ট্র্যামোনিয়াম সাধারণ শ্বাস-কাশির পক্ষে উপযোগী এবং সুরাপায়ীদের হাঁপানি ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। হাঁপানির টানের সাথে যখন রোগীর শ্বাসস্বল্পতা হয়, তখন সে নির্মল বায়ু সেবনের জন্য অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করে। এটা দ্বারা সাময়িক উপকার মাত্র সম্ভব।
সম্বন্ধ।-ফুল আটকিয়ে প্রলাপাদিতে সিকেলি, পাইরোজেন তুল্য; প্রলাপে-বেল, ল্যাকে, হায়োসা তুল্য; অলীক দর্শনে ব্যাপটি থুজা তুল্য; উজ্জ্বল আলোকে আক্ষেপের বৃদ্ধিতে-কেলি-ব্রোন তুল্য; অতিরিক্ত বাচালতায়-কুপ্রাম, হায়ো, ল্যাকে তুল্য; দোঘয়-বেল, ক্যাম্ফার, নাক্স ভমিকা
বৃদ্ধি।স্পর্শে; চললে; ঠান্ডায়; সন্ধ্যাকালে; রাতে; অন্ধকারে; পানি বা চকচকে পদার্থ দেখিলে; সূর্যতাপে; ঘুমের প্লুর।
হ্রাস।-শুইলে; উত্তাপে; আলোকে; অনেক লোকের মধ্যে।
শক্তি।-মূল-অরিষ্ট, ৩, ৬, ৩০ ও ২০০।