ককিউলাসইন্ডিকাস (Cocculus-indicus)

পরিচয়।-এটার অপর নাম কাকমারী ।

ব্যবহারস্থল। -নৌকা, জাহাজ, ষ্টীমার যাত্রায় বমি হতে থাকলে। সমুদ্রযাত্রার ২/৪ দিন আগে হতে এই ঔষধ সেবন করলে সামুদ্রিক বিবমিষা হয় না। গর্ভিণীরোগ, বাত, টাইফয়েড, মেনিঞ্জাইটিস, পক্ষাঘাত, রজঃশূল, মনোবিকার প্রভৃতি।

ক্রিয়াস্থল। -অবিবাহিতা, সন্তানহীনা, অল্প কেশযুক্তা রমণীদের রোগে এবং যে সকল রমণী দিবা-রাত্রি বই পড়ে এবং ঋতু ও গর্ভধারণ কালে নানাপ্রকার রোগাক্রান্ত হয়। এই ঔষধে অনুভূতি শক্তির অভাব ঘটে; রোগিণীকে চিমটি কাটিলেও অনেকক্ষণ পরে বুঝতে পারে, কথা বললে কিছুক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাইয়া থাকে, পরে উত্তর দেয়। মস্তিষ্ক ও স্নায়ুমন্ডলীর উপর ক্রিয়া। রাত্রি জাগরণ ও অতি পরিশ্রম হতে রোগ।

প্রদর্শক লক্ষণ।-ঘোড়ার গাড়ী, নৌকা বা রেলগাড়ীতে চড়লে গা-বমি-বমি করে। চলন্ত দ্রব্য দেখিলে গা-বমি-বমি করে। অবসাদ, স্নায়ুমন্ডলীর দুর্বলতা, নিদ্রাতুর শিশু ঘুমাতে পারে না। সামান্য নড়িতে বা উঠতে গেলেই মাথা ঘোরে। রোগী স্থিরভাবে দেহ আবৃত করে পড়ে থাকে। রাত্রি জাগিলে যে সকল রোগ হয়। অনিদ্রার পর, রাগ ও দুঃখের পর তড়কা। সহজেই রেগে যায়, প্রতিবাদ করতে পারে না। গর্ভাবস্থায় প্রদর স্রাব, স্রাব মাংস-ধোয়ানি পানির মত। মাসিক ঋতু হওয়ার সময় অসীম দুর্বলতা। পা এত দুর্বল যে দাঁড়াতে পারে না। মাসিক ঋতুর পর অর্শরোগ বাড়ে, হাত-পা ঝি-ঝিন করে। শরীরের নানাস্থানে, বিশেষতঃ মাথায় খালি খালি বোধ শরীর অত্যন্ত দুর্বলতার জন্য জোরে কথা বলতে পারে না। অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবায় শুক্রক্ষয়ের জন্য নানাবিধ রোগ। মুখমন্ডল, জিহবা, গলা প্রভৃতি স্থানের পক্ষাঘাত। আক্রান্ত স্থান অসাড় ও ঝিন ঝিন করে। সকালে বিছানা হতে উঠবার পর মৃগী, তারপর জ্বর। উদরে বায়ুসঞ্চয়, উদ্গারে কমে, বাতকর্মে কমে না। খাদ্যদ্রব্যের গন্ধ ভাল লাগে না। হিষ্টিরিয়া ও সেইসঙ্গে বিষাদ। স্নায়বিক দুর্বলতার জন্য হাঁটু ভেঙে আসে। হাত-পা পর্য্যায়ক্রমে গরম ও ঠান্ডা হয়।

মন।-ককিউলাস রোগী প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না, সামান্য যে কোন কারণেই রাগান্বিত হয়ে পড়ে। অত্যন্ত অবসাদের মধ্যেও আস্তে আস্তে কথা বলতে পারে না। রোগিণী মনে করে ‘তার সময় অতি শীঘ্র শীঘ্র অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। (মনে হয়, সময় অত্যন্ত আস্তে আস্তে অতিবাহিত হচ্ছে, সেজন্য রোগী অত্যন্ত অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে-আর্জেন্টাম-নাইট্রিকাম)। রোগিণী স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খুবই যত্নবান। ককিউলাস রোগিণীর সদাই গান গাহিবার দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা (ক্রোকাস- স্যাট, স্পঞ্জি, টিউক্রি), কোন বিষয়ই খুব সহজে বুঝতে পারে না (অ্যাগ্লাস, অ্যামব্রা, অ্যাসিড-ফস, ওলিয়েন্ডার, নেট্রাম-কার্ব)।

গর্ভাবস্থায় রোগ। -গর্ভাবস্থায় বিছানার উপর উঠে বসলেই বমির উপক্রম হয়, এমন কি বমন হয়েও যায়। গর্ভাবস্থায় বমনে-অ্যাসিড-কার্বলিক, অ্যাপোমফিয়া, কিউকারবিটা, অ্যাসারাম (ইপিকাকের মত বমি ও গা-বমি-বমি); পেট্রোলিয়াম (পাকস্থলীর লক্ষণযুক্ত বমনে); সিম্ফোরিকাপাস-রেসিমোসা (সমস্ত খাদ্যে ঘৃণা, মুখ দিয়ে পানি উঠা, বমি ও গা-বমি-বমি); ক্রিয়োজোট (আহারের কয়েক ঘন্টা পরে বমি অথবা সকালে মিষ্টিস্বাদযুক্ত জলীয় ৰমন); অ্যাসিড-ল্যাকটিক (যা খায় তাই অম্বল হয়, পাকস্থলী হতে মুখ পর্য্যন্ত জ্বালা, বমি ও গা- বমি-বমি), কেলি-স্যালিসাইলি- দুর্দম্য বমন, অন্য ঔষধ বিফল হলে, এটা অনেক সময়ে বিশেষ কার্যকরী হয়ে থাকে। রোগিণী সামান্য ঘুমের ব্যাঘাত সহ্য করতে পারে না। সামান্য রাত্রিজাগরণে শরীর অসুস্থ হয়ে থাকে। গর্ভকালে জরায়ু হতে রক্তস্রাব; দাঁড়ালে পা বেয়ে রক্ত পড়ে (ক্যামোমিলা, পালসেটিলা, সাইক্লামেন)।

শিরোঘূর্ণন।-মাথা অত্যধিক ঘুরে। এত মাথা ঘুরে যে, রোগীকে দেখিলে মনে হয় বুঝিবা কোনপ্রকার নেশা করেছে। শোয়া অবস্থায় উঠে বসতে গেলেই মাথা বেশী ঘুরাইতে থাকে; পুনরায় শুয়ে পড়তে বাধ্য হয়। জাহাজ, গাড়ী বা নৌকায় চড়লে গা-বমি-বমি ও বমি হয়। তুলনীয়।-ব্রাইওনিয়া-বিছানা হতে উঠলেই মাথা ঘোরে। অ্যামন-কার্ব-সকালে বিছানা হতে উঠলে মাথা ঘোরে। ক্যাডমিয়াম সালফ-রোগী মনে করে তার বিছানা, ঘরবাড়ী সমস্তই চরকার মত ঘুরছে। ব্রহ্মতালু আগুনের মত গরম। কোনায়াম, থেরিডিয়াম -পাশ ফিরলে বা মাথা নাড়লে মাথাঘোরা, গা-বমি-বমি। থুজা-চোখ বুজলে মাথা ঘোরে কিন্তু চোখ খুললে আর মাথা ঘোরা থাকে না। মস্কাস – সামান্য নড়াচড়া করলেও এবং চোখের পলক খুললেও মাথা ঘোরে, পেটফাঁপা এবং অরুচি। শরীরের ভিতরে উত্তাপ কিন্তু বাহিরে শীত। সাম্বুল-একটু হেঁট হলে মাথা ঘোরে। বসে উঠবার সময়ে, বেড়ানোর সময়ে এবং গরমপানি ব্যবহারে মাথা ঘোরে। শিরঃরোগ-মাথার চারিদিকে যেন একগাছা দড়ি বাঁধা আছে এরূপ অনুভব করে। মাথার পশ্চাৎদিকে ও ঘাড়ের পিছনে অসহ্য বেদনা, মনে হয় যেন মাথার পিছনদিকটা একবার ফাঁক হচ্ছে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার ঘাড়ের দিকের পেশীর দুর্বলতার জন্য মাথা হতে হতে কাঁপিয়া উঠে। একটু নড়লেই বমি-বমি ভাব। প্রতি ঋতুর সময়, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এবং আলোকের দিকে তাকালে স্ত্রীলোকদের মাথার যন্ত্রণার বৃদ্ধি।

সেরিব্রোস্পাইন্যাল-মেনিঞ্জাইটিস।– মাথার পশ্চাৎ অংশে এবং ঘাড়ে ভয়ানক ব্যথা, শিশু অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তার ঘাড়টা ও মাথাটা পিঠের দিকে বেঁকে যায়। শিশু একটু সুস্থ বোধ করলেই বা জ্ঞান ফিরে আসিলেই ঘাড়ে হাত দেয়-ও টিপে। বহুদিন পর্য্যন্ত নিদ্রাহীন অবস্থায় কাটাবার পর যদি খেঁচুনি, আক্ষেপ বা তড়কা হয় এবং তড়কার সময় যদি সে চোখ বুজে থাকে তবে এটা ব্যবহাৰ্য্য। তড়কার ভিতর মেনিঞ্জাইটিস। রোগী মাথা নাড়লে তার মেরুদণ্ডের হাড়গুলির ভিতর মটমট শব্দ হতে শুনা যায়। কোমর অসাড়। ঘাড়ের পেশীগুলিও অত্যন্ত ক্ষীণ ও ভারী বোধ হয়। রোগী মনে করে যেন তার ঘাড় মাথার ভার বহন করতে পারে না (ক্যাম্ফে-ফস, ভেরে- অ্যাল্ব)।

পক্ষাঘাত। – পৃষ্ঠবংশীয় মজ্জা আক্রান্ত হয়ে কটিদেশের পক্ষাঘাত। মুখ, জিহবা, ও গলার পক্ষাঘাত ও সেজন্য রোগী ধীরে কথা বলে ও কোন কিছু গিলতে অসুবিধা ও কষ্ট বোধ করে। উরু, কোমর, পা প্রভৃতি স্থানের পক্ষাঘাত। ঘাড়ের মাংসপেশীর পক্ষাঘাত। ঠান্ডা লেগে পক্ষাঘাত। পেটে বায়ু জমে, বিশেষতঃ রাত্রিকালে। মাথা ঘোরা। পা ফোলা। শিরদাঁড়ায় ব্যথা, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্থান অসাড় ও সেই স্থান ঝিন ঝিন (tingling) করে। আক্রান্ত স্থানে ঘাম হয়। গা-বমি-বমির সঙ্গে মুখ হতে লালাস্রাব। শরীরের একদিকের পক্ষাঘাত, ঘুমের পর বাড়ে। পক্ষাঘাত রোগীর হাঁটু দুইটি চলবার সময় অবশ হয়ে আসে, চলবার সময় টলতে থাকে। কখনও হাত দুইখানি কখনও বা পা দুইখানি অবশ হয়, খাওয়ার সময় হাত কাঁপতে থাকে। পর্যায়ক্রমে কখনও ডান হাত কখনও বাম হাত অবশ হয়ে যায়। পূর্বোক্ত লক্ষণের সাথে গা-বমি-বমির ভাব থাকলে এটাই একমাত্র ঔষধ। তুলনীয়।– কষ্টিকাম-মুখের এবং জিহবার পক্ষাঘাত। অক্ষিপুটের এবং ঠান্ডা লেগে চোখ-পেশীর পক্ষাঘাত। কোনায়াম – পক্ষাঘাত পা হতে আরম্ভ হয়ে ক্রমে উর্ধ্বে যায়। জেলসিমিয়াম – জিহবার, গলনলীর, অন্ননালী, মুখের, চোখপাতার মলদ্বার পেশীর ও মূত্রনলীর পক্ষাঘাত। প্লাম্বাম – জিহবার, অন্ননালীর ও হাতের কব্জির পক্ষাঘাত। আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশঃ সরু হয়ে যায়। সেলিনিয়াম – স্বরযন্ত্রের পক্ষাঘাত। লোবেলিয়া – জিহবার পক্ষাঘাত। মেজেরিয়াম-আঙ্গুলের ডগার পক্ষাঘাত, রোগী কোন জিনিষ ধরতে পারে না।

দাঁতের রোগ জিহবার পক্ষাঘাত।– ক্ষয়প্রাপ্ত দন্তে ভয়ানক বেদনা – যে কোন খাদ্যদ্রব্য চিবানোর সময় বেদনা, কিন্তু মুখে যখন আহার্য্য দ্রব্য থাকে না, তখন ব্যথা অনুভব করে না। জিহ্ব হলুদবর্ণের লেপাবৃত। খাদ্যদ্রব্যে রুচি নেই। সবই নোনতা মনে হয়। তামাক সহ্য করতে পারে না। জিহবা ও তালুমূলের পক্ষাঘাত এবং অসাড়তা।

দুর্বলতা। -মুখমন্ডল রক্তহীন; চোখ নীল রেখায় বেষ্টিত এবং মুখমন্ডলে ঠান্ডা ঘাম। নিদ্রাহীনতা ও মেরুদন্ডের দুর্বলতা। উঠে বসতে গেলে যেন দুর্বলতা বেশী হয়, সেজন্য অনবরত শুয়ে থাকতে চায়। দুর্বলতার সাথে মাথাঘোরা, বমি ও গা বমি-বমি।

স্ত্রীরোগ (বাধক বেদনা)। ঋতুর সময় রোগিণীর নিম্নাঙ্গ অতি দুর্বল, দাঁড়াতে অত্যন্ত কষ্ট হয়, প্রতিবার ঋতুর পর অর্শ বের হয়ে থাকে। ঋতুস্রাব কালবর্ণের ও ঘন এবং কোমরে ব্যথা। কোমরের পক্ষাঘাত লক্ষণ। চলতে গেলে হাত-পা কাঁপে। দুই ঋতুর মধ্যবর্তীকালে শ্বেত প্রদর স্রাবও হয়। (অ্যাসিড-পিক্রিক), রক্তাক্ত শ্লেষ্মাবৎ পদার্থ বের হয়। ঋতুর সময় অত্যধিক বেদনা ও সেই সময় প্রায়ই পেট ফোলে এবং পেটের ভিতর অত্যধিক বায়ু জমে থাকে। ঋতুশূলের সময় রোগিণীর তড়কা।

মনোবিকার। – ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে উন্মত্তের মত ব্যবহার, রোগিণী হাসেন, কাঁদেন সাথে অত্যধিক প্রদরস্রাব থাকে। সদৃশ। – পালসেটিলা – ঋতুস্রাব যথাসময়ে হয় না, রক্তের বর্ণ কাল, রক্ত ঘন বা চাপ চাপ, স্বল্প ও পরিবর্তনশীল। বেদনাসহ শীত-শীত ভাব। ম্যাগ্নেসিয়া-মিউর জরায়ুর ভিতর শক্ত হয়ে যাবার জন্য বাধক-বেদনা। ক্যামোমিলা-প্রচুর চাপ চাপ রক্তস্রাব; প্রসব বেদনার মত তীব্র বেদনা; রুক্ষ মেজাজ; সাইক্লেমেন – বেদনার সাথে শীত শীত ভাব এবং রোগিণী সদাই কাঁদ-কাঁদ ভাবে সময় কাটায়।

হার্ণিয়া।-নাভিদেশের অস্ত্র-চ্যুতি (Umbilical Hernia) রোগে সাধারণতঃ নাক্স ভমিকার পর এই ঔষধ ব্যবহৃত হয়। নাক্স ভমিকার পর ব্যবহারে শিশুর গোঁড় ভাল হয়।

নিদ্রা। –রাত্রিজাগরণ জন্য যে কোন রোগে এটা ফলপ্রদ। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিলেই শরীর ভয়ানক অসুস্থ হয়। মুখ-চোখ বসে যায় ও মাথা ঘুরে। বার বার কষ্টকর হাই উঠা ও নানাপ্রকার অশান্তির সাথে অনিদ্রা রোগেও এটা ফলপ্রদ।

টাইফয়েড জ্বর।-রোগীর স্নায়ুকেন্দ্র আক্রান্ত; অত্যন্ত মাথা ঘুরে, উঠে বসতে গেলে মাথায় যন্ত্রণা হয়, মাখা ঘুরে, যদি ও ा–মिর বৃদ্ধি হয়, এমন কি মূর্জিত হয়ে পড়ে। সহজে কোন বিষয় বুঝতে পারে না, এমন কি নিজের লক্ষণের কথা ব্যক্ত করতে পারে না, সেজন্য বিড়বিড় করে বকিতে থাকে। চোখের পাতা ভারী, চোখ খুলতে পারে না। পেটের ভিতর যেন ধারাল পাথর বা কাঠি রয়েছে এরূপ বোধ করে। পেট অত্যন্ত ফোলে ঢেকুর বা বাতকর্মের পরও পেট-ফোলা কমে না। রোগী আবৃত হয়ে পড়ে থাকে।

কলিক। -মধ্যরাত্রে বায়ুজনিত কলিক, বায়ু নিঃসরণে উপশম হয় না, পেটে বায়ু তাল পাকাইয়া উঁচু হয়ে ঘুরে বেড়ায়। পেট হড়হড় কলকল করে, মুখ হলদে, ঠান্ডা ঘাম, খাওয়ার পর ও গাড়ীতে চড়লে বেশী।

তুলনীয়।– শব্দে অচৈতন্য হওয়ায়- নাক্স ভমিকা; পাকাশয়ের মূলে- অ্যান্টিম-ক্রুড; বাধক বেদনায় – পালস, ক্যামো, সাইক্লেমেন; ভূতের ভয়ে -অ্যাকোনাইট, আর্স; বমনেচ্ছায় -ইপিকাক, ক্যাডমি-সাক্ষ; গর্ভাবস্থায় বিবমিষা রোগে ইগ্নেসিয়া, পেট্রো, পালস ও সিম্ফোরি-কার্পাস তুল্য।

দোষঘ্ন।- কুপ্রাম, ইগ্নে, ক্যামো, ষ্ট্যাফি, নাক্স ও কফিয়া।

বৃদ্ধি।– খাওয়ার পর, পান করার পর; একদিন অন্তর; স্পর্শে; ঘুমালে; ধূমপানে; কথা বললে; যানবাহনে বেড়ালে; নড়লে চড়লে; গর্ভাভস্থায় উঠে বসলে; অনিদ্রায়; চাপ দিলে; নাড়ালে; হেঁট হলে; সন্ধ্যায়; রাতে; মধ্যরাতে; সূর্যকিরণে; বিছানার গরমে; মাসিক ঋতুকালে বা ঋতুর পর (লিভারের যন্ত্রণা); খোলা হাওয়ায়; সাঁতার দিলে; শব্দে।

হ্রাস। ঘরের মধ্যে; চুপ করে থাকলে।

শক্তি।-৩x, ২০০ শক্তি। গর্ভাবস্থায় বমনের ক্ষেত্রে ২০০ শক্তি।

 

 

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!