কক্সিনেলা–সেপ্টেম্পাংটেটা (Coccinella Septempunctata)
পরিচয়।-একপ্রকার পতঙ্গ হতে এই ঔষধ তৈরী হয়।
ব্যবহারস্থল।-ডান চোখের উপরে এবং কপালে স্নায়বীয় শিরঃরোগ, ডান ভ্রুতে অসহ্য বেদনা, শিরঃরোগ বৃদ্ধি হলে চোখ মেলতে না পারা (অ্যাগারি, বেল, নেট্রাম-মি, সিলি, স্যাঙ্গু, সালফ)। উজ্জ্বল চকচকে বস্তুর দিকে তাকালে মাথার যন্ত্রণার বৃদ্ধি (বেল, হাইড্রো, ট্র্যামো)। মুখের স্নায়ুশূল, দন্তশূল, জলাতঙ্ক ও হুপিং-কাশি।
ক্রিয়াস্থল।–ডাঃ ক্লার্ক বলেন -এই ঔষধ দত্ত ও মুখের স্নায়ুশূলে বিশেষ কাজ করে। জলাতঙ্ক রোগে এটা ক্যান্থারিস সমতুল্য। নিউরালজিয়া, রাত্রে বৃদ্ধি; হাত-পা ঠান্ডা, ডানদিকে বেশী; ঠান্ডা ঘাম।
দন্তশূল।– মাঢ়ীতে দপদপকারী বেদনা এবং অত্যন্ত ঠান্ডা লাগেছে বলে মনে হয়। রাত্রিকালে মুখের ভিতর প্রচুর লালা সঞ্চয় এজন্য ঘুম ভেঙে যায়। আলজিহবা অত্যন্ত লম্বা হয়েছে বলে মনে করে (আর্স, ইগ্নে, ল্যাকে, মার্ক-কর, পালসে, সাল্ফ)।
হুপিং-কাশি। -কাশি হইবামাত্র মুখ হতে ডিমের লালার মত লালা বের হয়। হাঁপানি রোগেও পূর্বোক্তরূপ কাশি পাওয়া যায়। উজ্জ্বল চকচকে জিনিষের দিকে তাকালে জলাতঙ্ক রোগ। হুপিং-কাশির অপর কয়েকটি উৎকৃষ্ট ঔষধ-জাষ্টিসিয়া – প্রবল আক্ষেপিক ধরনের কাশি; কাশির ঝলক হতে হতে আসে, দম বন্ধ হওয়ার মত অবস্থা। ক্যাষ্টোনিয়া-ভেঙ্কা- প্রথমাবস্থায়, আক্ষেপিক ধরণের কাশিতে বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ড্রসেরা।- হুপিং-কাশির একটি বিশিষ্ট ঔষধ। রাতে শয়নের পরে বৃদ্ধি, শিশু ঘন ঘন কাসে, এক একবার প্রবল কাশির ঝলক আসে; কাশির ধমকে মলত্যাগ করে দেয়। ন্যাপথালিন -এত ঘন ঘন কাশি হয় যে রোগী শ্বাস গ্রহণের সময় পায় না। কাশতে কাশতে বুকে যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। কিউপ্রাম-সালফ-রাতে বৃদ্ধিযুক্ত, অনবরত আক্ষেপিক কাশি। মিফাইটিস-রাতে শুইলেই কাশি বাড়ে, হুপ শব্দ হয়, কাশবার সময়ে দম বন্ধ হয়ে আসে, আহারের অনেক পরে কাশলেও যা খায় বমি করে ফেলে। সিনা-কাশতে কাশতে বুকে শিশু আড়ষ্ট বা শক্ত হয়ে উঠে। কাশির পরে গলা হতে পেট পৰ্য্যন্ত গলগল শব্দ। কৃমি লক্ষণে অধিকতর উপযোগী। কোরেলিয়াম-রুব্রাম ফাসির আক্ষেপ এড প্রথম যে শিশুর যেন দম বন্ধ হয়ে আসে, বমি করে এবং মুখমণ্ডল নীলবর্ণ ধারণ করে (ইপিকাকের মত)। কক্কাস-ক্যাষ্টাই-গলা খুস খুস করে রাতে বৃদ্ধিযুক্ত কাশি 1 প্রতিবার কাশির আক্ষেপের পরে (after any couphing-spell) মুখ দিয়ে আঠার মত চটচটে শ্লেষ্মা দড়ির মত লম্বা হয়ে মুখ দিয়ে ঝুলতে থাকে (কেলি বাইক্রমিকামের মত)।
হিক্কা। -হিক্কার সময় পাকযন্ত্রের ভিতর অত্যন্ত জ্বালা। শিশুদের দাঁত উঠবার সময় স্নায়ুর উত্তেজনাবশতঃ শিশুর অত্যন্ত অস্থির নিদ্রা। কিডনী প্রদেশে এবং কোমরে অত্যন্ত ব্যথা, হাত-পা শীতল।
সম্বন্ধ।-আর্সেনিক, ক্যামোমিলা ও ন্যাফথেলিনাম এটার সমতূল্য।
শক্তি।৩x, ৬x ও ৩০।