কোকেইন (Cocain)
পরিচয়।– কোকার উপক্ষার।
ব্যবহারস্থল।-কোকেইন স্থানিক অসাড়তা উৎপাদক। এটার প্রধান লক্ষণ চামড়ার নীচে বালুকাকণা রয়েছে অনুভব বা পোকা হেঁটে বেড়াচ্ছে বোধ। এটার রোগী সদাই মহৎ কাজ করতে চায় বাহাদুরী কিনিবার ইচ্ছা তার খুবই বেশী। কোকেইন রোগী তার চতুর্দিকে যেন ছারপোকা ও পোকাদি বেড়াচ্ছে দেখতে পায়। রোগীর বিশ্বাস কেউ তাকে প্রশংসা করে না, সকলে তাকে নিন্দাই করে। রোগী অনবরত চোখ ঢাকিয়া রাখতে চায়, আলো সহ্য করতে পারে না। এজন্য ঘরের মধ্যে অন্ধকার স্থানে লুকাইয়া থাকে। এটা গ্লুকোমার একটি বিশিষ্ট ঔষধ। গ্লুকোমা হয়ে চোখ একেবারে স্থির হয়ে যায়, কোন প্রকারেই চোখ ঘুরাইতে পারে না–অনবরত চোখ মিট মিট করে, চোখ দুইটি শুষ্ক এবং চোখতারকা বিস্ফারিত।
নিম্নাঙ্গের পক্ষাঘাতে যখন রোগী মনে করে তার নিম্ন অঙ্গ ছোট হয়ে গেছে এবং পেশীসকল নাচিতেছে, তখন এই ঔষধ ব্যবহার্য্য। নীচের দিকের পেশীতে যখন টান পড়ে, তখন রোগী সামনে যা পায় তাই সৰলে আঁকড়াইয়া ধরে। তান্ডবরোগে ঐরূপ লক্ষণ উপস্থিত হয়। সুরাপায়ীগণের বৃদ্ধাবস্থায় যদি শরীরের নানাস্থান কাঁপে বা নাচে তবে এটা দ্বারা উপকার পাওয়া যায় (অ্যাগারিকাস, সিমিসিফিউগা, থাইরয়ডিনাম)।
অজীর্ণ। -অজীর্ণরোগে কেবল তরল দ্রব্য পান করতে চায়, কঠিন দ্রব্য মোটেই মুখে ছোঁয়াতে চায় না। মিষ্টি দ্রব্যেও রোগীর বেশ রুচি আছে। (অ্যামন-কার্ব, সিনা, আর্জ-নাই, লাইকো, সালফ)।
কোকেইন হৃৎপিন্ডের দ্রুত স্পন্দনের জন্যও ভাল ঔষধ। রোগী সামান্য নড়াচড়া করলেই মনে ভাবে তার হৃত্যন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল। ডিজিটেলিসে ঠিক এই প্রকারের লক্ষণ আছে, কিন্তু জেলসিমিয়ামের রোগী মনে করে সে যদি একটু নড়াচড়া করে, তার হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
শক্তি।– ১x, ২x, ৩x, ৬x ক্রম ব্যবহৃত হয়।