ক্যাসিয়া-সোফেরা (Cassia Sophera)

পরিচয়।– কালকাসুন্দে। কালকাসুন্দের মত আর একপ্রকারের গুল্ম বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়, এটাকে এড়াঞ্চি, চাকুন্দে বা চক্রামর্দ বলে, এটার আর এক নাম দাদয়, কালকাসুন্দে ও চাকুন্দে উভয়ই দাদ ও অন্যান্য চর্মরোগে, পল্লীগ্রামে মুষ্টিযোগ হিসাবে বহুপরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উভয় গুল্মেই কিছু পরিমাণে ক্রাইসোফ্যানিক অ্যাসিড আছে।

ব্যবহারস্থল। -হাঁপানি, রোগী শয়ন করতে পারে না, উঠে বসে থাকতে হয়। বর্ষা এবং শীতকালে, সন্ধ্যার পরে এবং শেষ রাতে রোগলক্ষণের বৃদ্ধি।

হাঁপানি রোগী শয়ন করতে পারে না, এস্থলে এটাকে আর্সেনিক, অ্যারেনিয়া, ব্রোমিয়াম, ন্যাথালাইন প্রভৃতি ঔষধের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এই সকল ঔষধ ব্যর্থ হলে বা আংশিক ফললাভের পরে ক্যাসিয়া-সোফেরা ব্যবহৃত হতে পারে।

হুপিং-কাশিরও এটা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। আক্ষেপিক ধরণের কাশি, কাশতে কাশতে বুকে শিশুর দম বন্ধ হয়ে আসে। এটা কিউপ্রাম, ড্রসেরা, মিফাইটিস, কোরালিয়াম, মস্কাস, জাষ্টিসিয়া, ট্রাইফোলিয়াম, প্রভৃতি ঔষধের সমকক্ষ।

শক্তি।-মূল-অরিষ্ট ৫ ফোঁটা মাত্রায়, ১x, ৩xi

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!