ক্যালোট্রোপিস-জাইগ্যান্টিয়া (Calotropis Gigantea)
পরিচয়। আকন্দ-মূলের ছাল হতে প্রস্তুত।
ব্যবহারস্থল। -উপদংশ, উপদংশ জনিত রক্তাল্পতা, নিউমোনিয়া হতে যক্ষ্মারোগ, তরুণ রক্তামাশয়, জ্বর, গোদ, হাইড্রোসিল প্রভৃতি।
উপদংশ রোগে। -মার্কারি, নেইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতি ঔষধ বিফলে এটা দ্বারা উপকার পাওয়া যায়।
যক্ষ্মারোগ।-ডাবলিনের ডাঃ আইভাটস এই ঔষধ দ্বারা ৪টি পরিত্যক্ত যক্ষ্মারোগী আরোগ্য করতে সমর্থ হয়েছিলেন। বৃদ্ধদের ব্রঙ্কাইটিস রোগেও এটা কাজ করে। এটার লক্ষণ অ্যান্টিম- টার্টের মত (১x শক্তি)। এটা মেদাধিক্য ও অতিরিক্ত স্থূলতা দূর করে। ক্রমান্বয়ে ৩/৪ মাস এই ঔষধ সেবনে উপকার হয়।
কুষ্ঠব্যাধি। – কুষ্ঠব্যাধি যেখানে হাতের আঙ্গুল ক্ৰমান্বয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, আঙ্গুল ফুলে ঘায়ে পরিণত হয় সেখানে ডাঃ মাসি ও ডাঃ লিলিয়ান্থেল ক্যালোট্রোপিস প্রয়োগ করতে বলেন। শ্বেত-কুষ্ঠ রোগের প্রথমাবস্থায় এটার মূল-অরিষ্ট ৫ ফোঁটা মাত্রায় দৈনিক ৩/৪ বার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। উপদংশ নিমিত্ত নানাপ্রকার চর্মরোগ, কুষ্ঠজনিত নানাপ্রকার ক্ষত, উপদংশজ গুটিকা (syphilitic nodes) ইত্যাদিতে ক্যালোট্রোপিস বিশেষ কাজ করে। যে কোন প্রকৃতির কুষ্ঠরোগে, এমন কি গলিত কুণ্ঠেও দেশীয় থানকুনি হতে প্রস্তুত হাইড্রোকোটাইল অত্যন্ত ফলপ্রদ ঔষধ। ধবল বা শ্বেতরোগে ক্যালোট্রপিসের মত সোরেলিয়া-কোরিলিফোলিয়া (বাবুচি বা লাটা কস্তুরী) বিশেষ উপযোগী। এটার বাহ্যপ্রয়োগ আছে, বিশেষতঃ বীজ হতে প্রস্তুত তৈল বাহ্যপ্রয়োগ রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি যুবকের বৃক্করোগে এই ঔষধের প্রথম দশমিক ক্রম ব্যবহারে আরোগ্য হয়েছিল (বৃক্ক-রোগ-এক প্রকার শ্বেতবর্ণের টিউবারকুলার ক্ষত, সেটা সাধারণতঃ মুখেই হয়)।
শক্তি।-মূল-অরিষ্ট ১ ফোঁটা হতে ৫ ফোঁটা মাত্রায় দৈনিক ৩ বার; ২x, ৩x, ৩০, ২০০ শক্তি।