অ্যাপোসাইনাম-অ্যান্ড্রোসিমিফোলিয়াম (Apocynum Androsemifolium)
পরিচয়। ডগস্-বেন গাছের মূল হতে তৈরী হয়।
ব্যবহারস্থল। —সন্ধিবাত বা আমবাত জন্য এই ঔষধটি বিশেষ কার্যকরী। বাতবেদনা এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলে বেড়ায়, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পেশী আক্রান্ত হয়। ডাঃ হেল উপরোক্ত লক্ষণে দুইটি রোগীকে আরোগ্য করেছিলেন।
সন্ধিবাতে আঙ্গুল ও পদতলে বেদনা, পদতলে অত্যন্ত উত্তাপ বোধ, সেইসঙ্গে সেখানে ঘাম ও জ্বালানুভব। হাত ও পায়ের গাঁটের স্ফীতি ও বেদনা। বেদনা স্থান পরিবর্তন করে (এপিস, কেলি-বাই, ল্যাক্-ক্যান, পালস)। এটার মূল-অরিষ্ট এক ফোঁটা মাত্রায় সেবন করলে ক্রিমি নিঃসৃত হয়। সদৃশ।—ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ধিবাতে কলোফাইলামের সাথে এটার তুলনা করা যেতে পারে। এটার বাতের বেদনা পালসেটিলা, কেলি-বাইক্ৰমিকামের মত স্থান পরিবর্তনশীল। আক্রান্ত গাঁটের আড়ষ্টতা আছে। স্ত্রীলোকদের পক্ষে কলোফাইলাম অধিকতর উপযোগী।
প্রদর্শক লক্ষণ।— শরীর অত্যন্ত দুর্বল। শরীর কাঁপে। ভাবে মুখমন্ডল ও শরীর ফুলেছে। হাত-পা ফোলে, শরীর ভারী। ঘুমাবার প্রবল ইচ্ছা। শরীরের নানা স্থানে সঞ্চরণশীল বেদনা। তরুণ-বাত, অত্যন্ত আড়ষ্ট ভাব (stiffness) সর্বশরীরে প্রচুর ঘাম। গাঁটে গাঁটে দারুণ যন্ত্রণা। -পায়ের তলায় জ্বালা ও খাল ধরা।
পাথুরী।—মূত্র-পাথুরী রোগে এই ঔষধ কার্যকরী। মাথার যন্ত্রণার সাথে অল্প অল্প মূত্র বের হয়, ভয়ানক জ্বালা, কখন কখনও মূত্ররোধ। তুলনীয়। —বার্বেরিস-ভালগেরিস –বেদনা মূত্রপিন্ড বা কিডনী হতে পায়ের দিকে নেমে আসে, বারে বারে মূত্রত্যাগের ইচ্ছা। ক্যান্থারিস প্রস্রাবের অত্যন্ত বেগ ও কোথপাড়া। হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ হয়, মূত্ৰনলী মধ্যে চুলকায়। ইলোমিয়া – কিডনীতে প্রবল বেদনা সেইসঙ্গে বমনেচ্ছা বা গা-বমি-বমি। ইউভা-উর্সি— পাথীর জন্য মূত্রনলীতে বেদনা। প্রস্রাব বের হতে হতে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সার্সাপ্যারিলা – কিডনীতে বেদনা। প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথরী বের হয়, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ।
উদরাময়। —অনবরত বমি ও গা-বমি-বমির সাথে উদরাময়। সন্ধ্যাবেলা পেটে সামান্য বেদনা হয়ে প্রচুর মলত্যাগ। শিশুদের মলে অত্যধিক কৃমি দেখা যায়। হৃদরোগের জন্য শোথ, হৃৎপিন্ডের বিবর্দ্ধনের জন্য জ্বর; প্রবল শিরঃরোগের সাথে গা-বমি-বমি।
শক্তি। নিম্ন শক্তিই ব্যবহাৰ্য্য।