অ্যাকাইর্যান্থিস অ্যাসপেরা (Achyranthis Aspera)
পরিচয়। আপাং (ভারতীয় ঔষধ)। বাংলাদেশে মুষ্টিযোগ হিসাবে এটার বহুল ব্যবহার আছে। জ্বরে, বিশেষতঃ চতুর্থক জ্বরে (quartan fever) এটার পাতা গোলমরিচ ও রসুন সহ বেটে বড়ি করে ব্যবহার করা যায়। এটার কাথ মূত্রকারক, সেজন্য উদরী ও সর্বাঙ্গের শোথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটার অত্যধিক সঙ্কোচক গুণ থাকায় উৎকট উদরাময়, অতিসার এবং রক্তামাশয়ের প্রথম অবস্থায় এটার ক্বাথ মধু অথবা মিছরির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার এই ঔষধ সম্বন্ধে গবেষণা করে প্রথম হোমিওপ্যাথিক মতে ব্যবহার করেন।
ব্যবহারস্থল।—অতিসার, উৎকট উদরাময়, কলেরিন বা সরল কলেরায় এটার মূল-অরিষ্ট এবং নিম্নক্রম বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মল পানির মত সম্পূর্ণ বর্ণশূন্য অথবা হলুদাভ, শরীরে জ্বালা, মাথাঘোরা; পিপাসা অত্যধিক; প্রস্রাব কমে যায় অথবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। নাড়ী সূতার মত।
জ্বর। —পূর্বে উল্লিখিত মুষ্টিযোগের মত এটার মূল অরিষ্ট এবং ১x শক্তি পালাজ্বর এবং ত্র্যাহিক জ্বরে (tertian and quartan fever) বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কার্বাঙ্কল। —অসহ্য জ্বালাযুক্ত কার্বাঙ্কল ক্ষতে এটার মূল-অরিষ্টের বাহ্যপ্রয়োগ যেমন উপকারী মূল-অরিষ্ট এবং নিম্নশক্তি তেমনি আভ্যন্তরিক প্রয়োগে বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এস্থলে আর্সেনিক, অ্যাথোক্সিনাম, একিনেসিয়া এবং ট্যারেনটুলার সাথে এটার তুলনা চলতে পারে। কার্বাঙ্কলের মত নানাবিধ ক্ষত এবং ফোঁড়াতেও এটা ব্যবহৃত হয়।
শক্তি।—মূল-অরিষ্ট ও নিম্নক্রম।