সাইমেক্স–লেকটুলেরিয়াস (Cimex Lectularius)
পরিচয়। – অ্যাকান্থিয়া গ্রাভিয়োলেন্স – ছারপোকা।
ব্যবহারস্থল। -সবিরাম ও পালাজ্বর।
প্রদর্শক লক্ষণ – টেন্ডনগুলি যেন সঙ্কুচিত হয়ে গেছে এবং সেজন্য পা গুটাইয়া শয়ন করে। সব দ্রব্য ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে। সকল সন্ধিতেই বেদনা, বিশেষতঃ হাঁটুতে। শীত অবস্থা, শুইলে বৃদ্ধি। পিপাসা, বিজ্বর অবস্থায় পিপাসা, শীতের সময় সামান্য পিপাসা, জ্বর ছেড়ে গেলে পিপাসা আরও কম হয়। ঘামের সময় পিপাসা আদৌ থাকে না। কোষ্ঠবদ্ধতা, মল শুষ্ক, গোল গোল ডেলা, শক্ত মল। মলদ্বারে ঘা। শীত অবস্থায় ভয়ানক মাথাব্যথা, পানি পানে বৃদ্ধি। নাকের ভিতর কষ্টকর শুষ্কতা। পানি না খেলে সুস্থ থাকে (জ্বর)। অত্যধিক তন্দ্রাভাব এবং দুর্দমনীয় নিদ্রালুতা থাকে। রোগীর জিহবা ময়লা ও শ্বেত-লেপাবৃত, দেখিলে বোধ হয় যেন জিহবা পুড়ে গিয়া ফুলে উঠেছে। এটার রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। মল সুপারির মত গুটলে, গুটলে, অতি কষ্টে কোনক্রমে মল বের হয়। তারপরই মলদ্বার বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঔষধে পালাজ্বর ও রক্তস্রাবী অর্শ আরোগ্য হয়।
সদৃশ। -অ্যামন-মিউর, কষ্টিকাম, এপিস, ডাল্কামারা, ইউপেটোরিয়াম-পার্ফ।
শক্তি।-৩x, ৬x, ৩০, ২০০ ও তদূর্ধ্ব শক্তি।