চেনোপোডিয়াম–অ্যান্থেমিন্টিকাম (Chenopodium Anthelminticum)
বা (সিনা–আমেরিকানা)
পরিচয়।-এটার অপর নাম ওয়ারম-সিড বা জেরুজালেম-ওক।
ব্যবহারস্থল। -হাঁপানি, সন্ন্যাস, মৃগী, তড়কা, মাথায় যন্ত্রণা, আধ-কপালে মাথাধরা, অর্দ্ধাঙ্গের পক্ষাঘাত, ক্রিমি, মস্তিষ্ক-বিকৃতি জনিত বধিরতা, প্রদর, শোথ প্রভৃতি।
প্রদর্শক লক্ষণ।– মেরুদন্ডের ডান পাশে স্কন্ধ-ফলকের নিকট তীব্র বেদনা, ঐ বেদনা দেহভেদ করে বক্ষঃমধ্যে প্রসারিত। (ডানদিকের পৃষ্ঠ ফলকে তীব্র বেদনা – চেলিডোনিয়াম। বাম পৃষ্ঠফলকে বেদনা- চেনোপোডিয়াম-গ্নকাই। বাম বুকের ঊর্ধ্বাংশে বেদনা –মার্টাস-কম, থেরিডি, সালফ। বুকের ডান পাশের নীচে বেদনা-চেলি, মার্ক-ভাই, কেলি-ব র্ব। বুকের ডান পাশের উপর দিয়ে চালিত বেদনা ক্যাল্কে-আর্স। বাম বক্ষের নিম্নপ্রদেশে বেদনা – নেট্রাম-সালফ। বাম স্তনের নিম্নে বেদনা-সিমিসি, অষ্টিলেগো। শিশুকে স্তন্যদানকালে স্তনবৃত্ত হতে পৃষ্ঠদেশ পৰ্য্যন্ত বেদনা–ক্রোটন-টিগ, সাইলিসিয়া। বাম পৃষ্ঠ-ফলকের ভিতরদিকে বেদনা-র্যানান- বাল্ব। )
চেনোপোডিয়াম সন্ন্যাস, তড়কা ও আক্ষেপের উত্তম ঔষধ। রোগী সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে থাকে, মুখে ফেনা উঠে, দৃষ্টিশক্তি ও বাক্শক্তি লোপ পায়, সমস্ত ডান অঙ্গের আক্ষেপ ও পক্ষাঘাত, রোগী সশব্দে শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলে (ওপিয়াম), গলার ভিতরে ঘড়ঘড় শব্দ হয়; গিলতে গেলে দম আটকিয়ে যায়। রোগী মাতালের মত টলতে থাকে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কানের ভিতর নানাপ্রকার শব্দ হয়, ভাল শুনতে পায় না। ভয় পাবার পর জ্বর, নাড়ী দুর্বল, দ্রুত ও ক্ষীণ। তুলনীয়। -আর্ণিকা- সন্ন্যাস, সম্পূর্ণ অজ্ঞান, অসাড়ে বাহ্যে-প্রস্রাব, শ্বাস-প্রশ্বাসে নাক ডাকার শব্দ, মস্তক গরম, শরীর ঠান্ডা আঘাতের জন্য হলে অধিকতর উপযোগী। ওপিয়াম -রোগী সম্পূর্ণ অজ্ঞান, বাহ্যে-প্রস্রাব বন্ধ, শ্বাস-প্রশ্বাসে ঘড়-ঘড় শব্দ। গ্লোনইন – অতিরিক্ত রৌদ্রভোগের পরে সন্ন্যাস, (বেলেডোনার মত) মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়, মুখমন্ডল ও চোখ আরক্ত। হায়োসায়েমাস -রোগী চীৎকার করে হঠাৎ পড়ে যায়, আক্ষেপ, মুখে ফেনা, অসাড়ে বাহ্যে-প্রস্রাব।
তড়কা। -বেলেডোনা-প্রবল জ্বর, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়, মুখমন্ডল ও চোখ আরক্ত, কপালের দুটি রগ দপদপ করে। ক্যামোমিলা-দাঁত উঠার সময়ে শিশুদের তড়কা, শিশু খিটখিটে, বদমেজাজী, মাথা গরম এবং মাথায় ঘাম, মায়ের ক্রোধ বা ভয় হতে দুধপোষ্য শিশুর তড়কা। সিকুটা প্রবল খিচুনী, মুখ দিয়ে ফেনা উঠে, মাথা এবং ঘাড় পিঠের দিকে ধনুকের মত বেঁকে যায়। কিউপ্রাম-মেট-ফিটের সময়ে হাত-পায়ের আঙ্গুল মুড়িয়া মুঠা বাঁধে। সাইপ্রিপেডিয়াম -দাঁত ওঠা এবং অন্ত্রের উত্তেজনার জন্য তড়কা, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়। ইন্ডিগো – পেটে বড় কৃমির উত্তেজনা হতে তড়কা হলে বিশেষ উপযোগী।
শক্তি।–৩x, ৬, ৩০।