কার্ডুয়াস- বেনিডিক্টাস (Carduus Benedictus)

ব্যবহারস্থল। -চক্ষুরোগের ঔষধ। চোখের আকুঞ্চন দৃষ্টিদোষ দৃষ্টিহীনতা বিন্দু-বিন্দু দর্শন ও তারকা বড় হওয়া। এলিউমিনা- দৃষ্টি অস্পষ্ট সমস্ত জিনিস হলদে দেখায়। অ্যামন-কার্ব সূক্ষ্মকাজের জন্য দৃষ্টিহীনতা। প্যারাফিনা-চোখের সম্মুখে যেন কাল বিন্দুসকল ভাসছে এমন মনে হয়। অন্ধকার দেখা যায়। ফঙ্কোরাস দৃষ্টিশক্তি কমে যায় চোখের সম্মুখে নানাপ্রকারের রং দেখা যায়। দৃষ্টি কুয়াসার মত। চোখের সম্মুখে যেন কাল পোকা উড়ছে এমন মনে হয়। ক্রোকাস-দৃষ্টিহীনতা। রোগী মনে করে সে যেন কুয়াসার মধ্যে আছে। কমোক্লেডিয়া -ডান চোখ আক্রান্ত। গ্লকোমা বা অন্ধকার দর্শন। বেঞ্জিন-ডি-নাইট্রি-অন্ধকার দৃষ্টি। চোখের সম্মুখে নানাপ্রকারের রং দেখা যায়। শিরঃরোগ সন্ধিমধ্যে শব্দ অন্ননলীর সঙ্কোচন শিরাস্ফীতি দৃষ্টি-বিভ্রম ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ। পেটে জ্বালা ও কর্ত্তনবৎ বেদনা বমন গিলতে কষ্ট স্বরভঙ্গ বায়ুনলীতে বেদনা হাইতোলা ও হিক্কা প্রভৃতি।

প্রধান লক্ষণ। পেশীর অগ্রভাগে টান বোধ সন্ধিস্থলে মট্ মট্ শব্দ শিরার স্ফীতি পুরাতন প্লীহাদোষ রক্তবমন তন্দ্রালুতা বায়ুনলী মধ্যে বেদনা ও আকুঞ্চন মাথাঘোরা চোখ ঠিকরিয়ে বের হয়ে পড়বে বোধ কর্ণমধ্যে ঝিনঝিন বোধ মুখ হতে প্রচুর লালাস্রাব ক্রমাগত শুষ্ক কাশি।

জ্বর। -মেজাজ অত্যন্ত খিটখিটে। মধ্যাহ্ন হতে সন্ধ্যার মধ্যে জ্বরের বৃদ্ধি। জ্বরের সময় গরম শ্বাস-প্রশ্বাস ও ঘামের পর হাতে জ্বালা হয়। রোগী সামান্য কারণেই উদ্বিগ্ন ও ভীত হয়ে পড়ে। সামান্য শব্দে চমকিয়ে উঠে এবং হতে হতে ঘামতে থাকে।

শিরঃরোগ।-মাথা তুলিলেই মাথা ঘুরিতে আরম্ভ করে সামান্য একটু হেঁট হলেই মাথাঘোরা বাড়ে হাত-পা ভারী যেন মাথার পক্ষাঘাত হয়েছে। মাথাঘোরা জ্বরের সময়ই বেশী অনুভূত হয়।

মুখমধ্য।– রোগী মনে করে যেন তার মুখের ভিতরটা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে এবং মুখের ভিতর লালা জমিতে থাকে। ভয়ানক ক্ষুধা কিন্তু কিছু আহার করার পরই ঢেঁকুর উঠে।

কার্ডয়াস-বেনিডিক্টাস রোগীর শরীরের কোন অংশ স্পর্শ করলে সেখানে অত্যন্ত ব্যথা হয়। চলাফেরা করলে হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব করে।

শক্তি। – মূল-আরক ৩x ৬x ব্যবহার্য্য ।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!