কেহিঙ্কা (Cahinca)

পরিচয়। ব্রেজিলদেশীয় এক প্রকার উদ্ভিদ।

ব্যবহারস্থল। কাশি, শোথ, মূত্রগ্রন্থির রোগ, চোখে-প্রদাহ এবং লালামেহ রোগ।

প্রদর্শক লক্ষণ। – মাথার যন্ত্রণা পশ্চাত্তাগেই বেশী। মানসিক পরিশ্রমে বৃদ্ধি। চোখে জ্বালা, ঘুম ভাঙ্গিবার পর কোন দ্রব্য স্পষ্ট দেখতে পায় না, চোখের সম্মুখে যেন কুয়াসা রয়েছে (অ্যাগারিকাস, আর্জ-নাই, কষ্টি, জেলস, গ্লোন, পেট্রো, র‍্যানান-বাল্ব)। ভয়ানক সর্দি-সর্দির স্রাব পাতলা, নাকে ক্ষত (অ্যালি-সেগা, আর্স, আর্স-আয়োড)। মুখ হতে দুর্গন্ধ বের হয়। কাণের ভিতর ঝিঁ ঝিঁ শব্দ, যেন এক ঝাঁক পোকা উড়ছে। গলার ভিতর জ্বালা বোধ, মনে হয় যেন লঙ্কার ঝাল লাগেছে। বার বার মলত্যাগের বেগ হয়, কিন্তু মলত্যাগের পরিবর্তে বায়ু নিঃসরণ হয়ে যায়। মলদ্বারে জ্বালা। কিডনীতে বেদনা, পিছনদিকে ঝুঁকলে উপশম।

মূত্ৰনলীতে জ্বালাসহ মূত্রকৃচ্ছত্রতা, বার বার প্রস্রাবের বেগ। মূত্র অত্যন্ত গরম। ঝাঁজাল প্রস্রাব। প্রস্রাবের সময় লিঙ্গোদ্রেক। শোথ রোগ। সদাই প্রস্রাব পায়। প্রাস্রাব গরম, প্রস্রাবে অ্যালবুমেন। রাত্রে শুইলে হাঁপিয়ে পড়ে। চামড়া শুষ্ক। তুলনীয়।-অ্যাসিড-নাইট্রিক- প্রস্রাবে কটু দুর্গন্ধ, মূত্ৰনলী মধ্যে জ্বালা, উপশম পাবার আশায় ঘন ঘন প্রস্রাব করে, তাতে আরও জ্বালা- যন্ত্রণা বাড়ে। অ্যাস্পারেগাস – কিডনীতে তীব্র বেদনা ঘন ঘন বেদনাজনক মূত্রত্যাগ, অল্প পরিমাণ প্রস্রাব, প্রস্রাবের পরে মূত্রনলীতে জ্বালা। বার্বেরিস-এস্রাবে তীব্র জ্বালা। মূত্রাশয়, কিডনী হতে মূত্রনলী পর্য্যন্ত খোঁচামারা বেদনা। ক্যান্থারিস -উপর কিডনীতেই কাটা-ছেঁড়ার মত জ্বালাজনক বেদনা, প্রস্রাব করার পূর্বে, সময়ে এবং পরেও জ্বালা। ইকুইসেটাম-অল্প পরিমাণ প্রস্রাব। বেগ ধারণ করতে পারে না, প্রস্রাব করতে জ্বালা-পোড়া। সার্সাপ্যারিলা-প্রস্রাব ত্যাগান্তে তীব্র বেদনা, প্রস্রাব করার পূর্বে এবং প্রস্রাব করার সময়ে জ্বালাযন্ত্রণার জন্য শিশু কাঁদিয়ে আকুল হয়। সেনেগা-বার বার প্রস্রাব করার ইচ্ছা, করার পূর্বে এবং পরে পুড়ে যাবার মত জ্বালা-যন্ত্রণা। টেরিবিন্থ – তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা সহ ফোঁটা ফোঁটা এবং কষ্টকর রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব। প্যারেরা-ব্রেভা- প্রস্রাব ত্যাগ করার সময়ে অত্যন্ত কষ্ট এবং বেদনা রোগী চীৎকার করে। প্রস্রাবে অ্যামোনিয়া গন্ধ।

মূত্রপিন্ডপ্রদেশে বেদনা। -বেদনার সময় পশ্চাৎদিকে বক্র হয়ে শয়ন করলে আরাম বোধ। তুলনীয়।– ডায়াঙ্কোরিয়া – যে কোন বেদনা সটান সোজা হলে অথবা পশ্চাৎদিকে বক্র হলে উপশমিত হয় সুতরাং মূত্রপিন্ডপ্রদেশের বেদনায় এটা কেহিষ্কার সমকক্ষ। প্যারেরা ব্রেডা মূত্রপ্রদেশে বেদনার সঙ্গে বার বার প্রস্রাবের বেগ এবং প্রস্রাবে কষ্ট, প্রসাব করার সময় উরু বেয়ে বেদনা নীচের দিকে যায় (বার্বেরিসের মত)। ওসিমাম ক্যানাম – মূত্রপিত্তে, বেদনা বিশেষতঃ ডানদিকের, মূত্রনলীতে জ্বালা এবং বেদনা, প্রস্রাবে কস্তুরীর মত গন্ধ।

শক্তি। ৩x, ৬x ব্যবহাৰ্য্য।

 

 

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!