বিউফো (Bufo)

পরিচয়। এক জাতীয় ভেক। সেটার গ্রন্থির বিষাক্ত রস-রক্ত হতে এটা প্রস্তুত হয়। ৩x বিচূর্ণই ন্যূনতম শক্তি।

ব্যবহারস্থল। -কৃত্রিম মৈথুন জনিত মন্দ ফল, ধ্বজভঙ্গ, ক্যান্সার, অস্থিক্ষয়, তান্ডব, মস্তিষ্কের কোমলতা, হৃত্যন্ত্রের রোগ, চর্মরোগ, তোতলামি প্রভৃতি রোগে কার্যকরী।

ক্রিয়াস্থল। জননেন্দ্রিয় ও স্নায়ুবিধানের উপর ক্রিয়া। রোগী অত্যন্ত নীচমনা ও কামপ্রবৃত্তিসম্পন্না হয়।

প্রদর্শক লক্ষণ। মৃগী, রাত্রে নিদ্রাকালে আক্রমণ করে। রোগী কখনও ঘুম হতে জাগে, কখনও জাগে না। যদি জাগে তার শিরঃরোগ সুরু হয়। মৃগী আরম্ভের পূর্বে চীৎকার করে উঠে। মুখমন্ডল নীল; সম্পূর্ণ অজ্ঞান হয় না। আক্রমণের পর ঘুমায়। সুন্দরী নারীদের ঋতু হওয়ার সময় আক্রমণ। পুরুষদের সঙ্গমকালে বা কাম উত্তেজনায়। সমস্ত শরীর ফোলে, হলদে হয় ও নীল হয়। চামড়া তৈলাক্ত, চকচকে। রোগীর স্মৃতিশক্তি থাকে না। শরীরের নানা স্থানে অসাড় ভাব। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে মাথাধরা কম হয়। বাম ঠোটের পক্ষাঘাত।

মন। -বিউফোর রোগীর লজ্জা মোটেই নেই। অস্বাভাবিক উপায়ে ইন্দ্রিয় লিপ্সা পরিতৃপ্তির জন্য নির্জন স্থান খোঁজে। বার বার জননেন্দ্রিয় স্পর্শ করে। দংশন করার ইচ্ছা প্রবল; বিনা কারণে চটে ও কাঁদে। হাউ মাউ করে চীৎকার করে। গীত তার নিকট অসহ্য (অ্যাকোনাইট, বেলেডোনা, নেট্রাম-কার্ব, নেট্রাম-সাফ, স্যাবাই, থুজা), সামান্য শব্দেই বিরক্ত হয়; নির্জনতাপ্রিয় ও দুর্বলচিত্ত। ক্রমে উন্মাদ বা মৃগীরোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

ধ্বজভঙ্গমৃগী।-ডান আমেরিকার আদিম অধিবাসী বামাগণ স্বামীর প্রবল কামপ্রবৃত্তির পীড়নে উত্ত্যক্তা হয়ে এই রস স্বামীকে পান করিয়ে পুরুষত্বহীন করাইত। ডাঃ ক্লার্ক বলেন– এরূপ ভাবে পুরুষত্বহীনতার ফলে ক্রমে তাতে মৃগীরোগের সূচনা হইত। সুতরাং অস্বাভাবিক উপায়ে ইন্দ্রিয় তৃপ্তির ফলে যে মৃগী হয় তাতে বিউফো ফলপ্রদ। মৃগীর আক্রমণের আরম্ভে সে ভীষণ চীৎকার করে মাটিতে পড়ে যায়। স্ত্রীলোকদেরও ঋতুর সময় মৃগীরোগের আবির্ভাব দেখা যায়। ঋতু খুব শীঘ্র শীঘ্র প্রকাশিত হয়, সেইসঙ্গে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। পানির মত স্রাব ও দুর্গন্ধযুক্ত রক্তস্রাব।

চর্মরোগ।– রোগীর হাতের তলায় বৃহৎ ফোস্কা বের হয়, ঐ সকল ফোস্কা ফেটে রস বের হয়। অত্যন্ত জ্বালা। আঙ্গুলহাড়া হয়ে নখের চতুর্দিকে কালশিরার মত দাগ, আক্রান্ত অংশে পুঁজ জন্মিয়া মৃগী হয়ে থাকে।

বৃদ্ধি।-গরম ঘরে; ঘুমের পর, হস্তমৈথুনের পর; রতিক্রিয়ায়; ঋতুকালে; গান-বাজনায়; শব্দে।

হ্রাস। গোসল করলে; ঠান্ডা হাওয়ায়; পায়ের পাতা গরম পানিতে রাখলে (নাক দিয়ে রক্তস্রাব)।

শক্তি।-৩, ৬, ৩০, ২০০ ক্রম।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!