অ্যাটিষ্টাইণ্ডিকা (Atista indica)

পরিচয়।— -এটার বাংলা নাম আসশেওড়া বা কাটিশ্বর। বাংলার কোন কোন জেলায় এটা দাঁতন, আষ্টে বা কায়েকসা নামে পরিচিত। যেখানে এটা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, সেখানকার লোকে এটার কচি ডাল দিয়ে দাঁতন করে থাকে, অতি প্রয়োজনীয় মুষ্টিযোগ হিসাবে এটার প্রচুর ব্যবহার আছে। পাতার রস বা ক্বাথ পালাজ্বরে, পাতার রস এবং মূলের ছাল আমরক্ত রোগের উৎকৃষ্ট ঔষধ। ক্রিমিরোগেও এটা বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ব্যবহারস্থল। —ম্যালেরিয়া, বিশেষতঃ পালাজ্বর, উদরাময়, পিত্তবিকৃতি, কৃমির উপসর্গ, বমনেচ্ছা ও বমি, সাদা ও রক্তামাশয়, অম্ল এবং পিত্তশূল।

প্রদর্শক লক্ষণ।—রোগী উদাসীন, ফুর্তিশূন্য এবং বিষণ্ন। দাঁতের গোড়ায় dull pain ঘিনঘিনে বেদনা এবং সেটা হতে রক্তস্রাব হয়ে থাকে। পেটফাঁপা, উদ্গারে সাময়িক উপশমে কার্বো- -ভেজ, কিন্তু চায়নার উদ্গারে উপশম নেই। নাভীর চারিদিকে খামচানো বেদনা। জিহবায় সাদা লেপ, মুখে তিক্ত আস্বাদ।

জ্বর। —একদিন অন্তর পালাজ্বর বা দুইদিন অন্তর চাতুর্থক জ্বরে বিশেষ উপযোগী। সকালের দিকে জ্বর এসে বৈকালে ছেড়ে যায়। শীত কমে জ্বর আসে, শীতের পরে দাহ, সেই সময়ে পিপাসা হয়। প্লীহা এবং যকৃৎ স্থানে জ্বালা, সন্ধ্যাকালে বেশী।

সাদা এবং রক্তামাশয়। সামান্য আমের সঙ্গে শুধু তাজা রক্তবাহ্যেও হতে পারে। নাভীর চারিদিকে খামচানো বেদনা এটার বিশেষ লক্ষণ, মার্কিউরিয়াস-সল এবং মার্কিউরিয়াস করের সঙ্গে এটার তুলনা চলে। অ্যাটিষ্টা শরৎকালীন আমাশয়ের একটি অমোঘ ঔষধ। এটা কলচিকামের তুল্য কিন্তু প্রভেদ এই কলচিকামের আমরক্ত জেলির মত থকথকে চামড়ার মত; অ্যাটিষ্টার মল সাদা আমের সঙ্গে অথবা শুধুই তাজা রক্তমলত্যাগ করে।

ক্রিমি রোগ। —সকল প্রকার ক্রিমিতেই উপকারী— ক্ষুদ্র পিনের মত অথবা লম্বা, গোল, কেঁচোর মত, নাভীর চারিদিকে বেদনা। ক্ষুদ্র ক্রিমি মলের সঙ্গে বের হয়, বুজবুজ করে। ক্রিমির উপসর্গে উদরাময় যদি সরল কলেরায় (cholera morbus) পরিণত হয়, তাতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অম্ল এবং পিত্তশূল।—পেটফাঁপা, অম্ল-বমন, অম্ল-উদ্গার, অজীর্ণ, আহারের পরেই বমি হয়ে যায়। বাতাজীর্ণ। ক্রিমির উপসর্গ থাকলে অধিকতর উপযোগী হয়ে থাকে

শক্তি।–Q, ১x, x, ১২x।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!