অ্যাষ্টেকাস (Astacus Fluviatilis or Cancer Astacus)
পরিচয়।—এক প্রকার সমুদ্রের কাঁকড়া হতে প্রস্তুত হয়।
ব্যবহারস্থল।—যকৃতের রোগ এবং আমবাত প্রভৃতি রোগে ফলপ্রদ। শিশুদের ন্যাবা, তরুণ অর্বুদ, ইরিসিপেলাস, জ্বর, মাথাধরা, ঘাম, আমবাত, সুরাপায়ীদের সন্ধিবাত রোগ।
শিরঃরোগ।—প্রবল হাঁচি হওয়ার ফলে রোগীর মাথায় তীব্র বেদনা হয়। কাশলে ভয়ানক লাগে (ব্রাইয়ো, ক্যান্সিকাম, নেট্রাম মিউর, সালফার) এবং গ্রন্থিসমূহ স্ফীত।
নাক হতে রক্তস্রাব। –নাক হতে ৬/৭ দিন অনবরত রক্তস্রাব হওয়ার সময় বার বার প্রবল হাঁচি, হাঁচির জন্য মাথায় তীব্র বেদনা। নাক হতে রক্তস্রাবের পূর্বে রোগীর মুখমন্ডল আরক্ত ও স্ফীত হয়; কিন্তু রক্তস্রাবের পর অনেক লক্ষণের উপশম হয়। সদৃশ। —মিলিফোলিয়াম –নাক হতে উজ্জ্বল লালবর্ণের রক্তস্রাব, কোনপ্রকার বেদনা থাকে না। মেলিলোটাস নাকয় রক্তসঞ্চয়, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়, দপদপকর মাথাব্যথা, মুখমন্ডল লাল, নাক হতে রক্তস্রাব হয়ে সমস্ত উপসর্গের শান্তি। আর্ণিকা, অ্যামন-কার্ব, ম্যাগ্নেসিয়া-কার্ব ও সকালে হাত-মুখ ধুবার সময় নাক দিয়ে রক্তপাত হয়।
পাকাশয়ের রোগ।—কোন প্রকার গা-বমি-বমি নেই, তথাপি খাদ্যদ্রব্যাদি বমি করে ফেলে, বমির পরই প্রবল ক্ষুধা হয়। উপর পেটে জ্বালা ও নাভির নিকটে বেদনা। অস্ত্রশূলবেদনা, সেই সাথে কোথ। শিশুদের ন্যাবা রোগে এই ঔষধ কার্যকরী। শিশুর যকৃৎদেশে বেদনা হয় ও সাদা সাদা কাদার মত মলত্যাগ করে।
কাশি। —রোগীর বায়ুনলী মধ্যে সুড়সুড় করে কাশি হয়। বায়ুনলীভুজ মধ্যে প্রচুর শ্লেষ্মা সঞ্চিত হয়ে আঠার মত আটকিয়ে থাকে। সহজে উঠে যায় না, সকাল বেলা যে কাশি হয় তাতে কিছু গয়ার উঠে, সেটা ঈষৎ মিষ্টস্বাদযুক্ত, হরিদ্রাবর্ণ এবং রক্তমিশ্রিত। যক্ষ্মারোগী বেড়ানোর সময় স্থির হয়ে দাঁড়াতেই কাশির বৃদ্ধি (ইগ্নে)।
জ্বর। —রোগী হাওয়া সহ্য করতে পারে না, শীত শীত বোধ, গায়ের ঢাকা খুলে দিলে শীত। মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল জ্বর, জ্বরের সময় শীত শীত বোধ, মনে করে যেন তার শরীরের উপর পোকা বেড়াচ্ছে।
শক্তি।–৩, ৬, ৩০।