এরাম-ট্রাইফাইলাম ( Arum Triphyllum)
ব্যবহারস্থল। —এই ঔষধ অধিক মাত্রায় মানসিক গোলযোগ উৎপাদন করে এবং নাক, গলা, মুখের মধ্যে ও ঠোটপ্রান্তে ক্ষত জন্মায়। নাক হতে গরম, পাতলা ও ঝাঁজাল স্রাব নিঃসৃত হয়ে নাক ও ঠোঁট হেজে যায়। অনবরত নাকে আঙ্গুল প্রবেশ করায়, নাক ও ঠোঁট খুঁটিতে থাকে। এই লক্ষণগুলি সাধারণতঃ টাইফয়েড, বসন্ত প্রভৃতি রোগেই বেশী দেখা যায়।
প্রদর্শক লক্ষণ।—রোগী অত্যন্ত অস্থির, তন্মধ্যেই তন্দ্রাচ্ছন্নে শয্যার নীচের দিকে নেমে যায়। নাসাপথে ক্ষতকর স্রাব। স্রাব হাজাকর, যেখানে লাগে সেখানে হেজে যায়। প্রলাপ, নাক খোঁটে। একটা জায়গায় খোঁটে। ঠোঁট খোঁটে। রক্ত বের হয়, তবুও খোঁটে। নাক ও মুখের মধ্যে অত্যন্ত লালবর্ণ। বাচ্চা কাকের মুখের অভ্যন্তরের মত। বক্তাদের গলক্ষত। কাশলে গলায় লাগে। দুই-তিন রকম স্বর বের হয়। ফুসফুসে, বিশেষতঃ বাঁ দিকে টাটানি। নাক বন্ধ, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস লয়। জিব লাল, লালাস্রাব।
টাইফয়েড জ্বরে নানাপথে ক্ষতকর স্রাব বের হয়ে ওষ্ঠে ক্ষত হয়। রোগী নাক ও ঠোট ত খোঁটেই সেইসঙ্গে আঙ্গুলের অগ্রভাগও খোঁটে। রোগী অনবরত ছটফট করে এবং বিছানা হতে উঠে পালাইতে চায়। অচৈতন্য ভাব (ওপি, অ্যাসিড-ফস) লক্ষিত হয়। মূত্ররোধের জন্য মূত্র-বিকার ববার উপক্রম। মাথাটি বালিশ হতে গড়িয়ে নীচে পড়ে যায়। সদৃশ। —হায়োসোয়েমাস- রোগী নাক খোঁটে কিন্তু তার বিছানা খোঁটা লক্ষণটি প্রদর্শক। মিউরিয়েটিক অ্যাসিড-অত্যন্ত নবসন্নতার জন্য রোগীর মাথা বালিশ হতে নীচের দিকে সরেআসে (slides downin the bed)।
স্বরভঙ্গ। বক্তৃতামঞ্চে উঠবার সময় হঠাৎ গলা বসে গেলে অথবা বক্তৃতা করতে করতে হঠাৎ স্বরলোপ হলে ইহাদ্বারা সুন্দর ফল পাওয়া যায়। একসঙ্গে গলা হতে দুই-তিন রকম স্বর বের হয়। গায়ক ও বক্তাদের স্বরভঙ্গে আর্জেন্টাম-মেটালিকাম, আর্জেন্টাম নেইট্রিকাম এবং কষ্টিকামও বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শিরঃরোগ।– খাওয়ার পর কমে যায় (অ্যানাকা) এবং উষ্ণ আবরণে বা গরম কফি পানে বাড়ে। রোগী আলোক সহ্য করতে পারে না, যেন মেঘের ভিতর দিয়ে দেখছে।
সম্বন্ধ -এরাম, সিনা ও এইল্যান্থাস সমতুল্য ঔষধ। স্বরভঙ্গযুক্ত কাশিতে হিপার, অ্যাসিড- নাইট্রিক অনুপূরক।
বৃদ্ধি। –উত্তর-পশ্চিম বায়ুতে; গরম কফি সেবনে; গরমে।
শক্তি।–৩, ৬, ২০০ শক্তি ব্যবহার্য্য।