আর্সেনিকাম-মেটালিকাম (Arsenicum Metallicum)
পরিচয়। বিশুদ্ধ আর্সেনিক হতে এই ঔষধটি প্রস্তুত হয়।
ব্যবহারস্থল।—কোষ্ঠবদ্ধতা, সর্দি, অতিসার, চোখের অসুখ, অর্শ, শিরঃরোগ ও উপদংশ রোগে ফলপ্রদ। সুপ্ত উপদংশ বিষ এই ঔষধ সেবনের পর উদ্বুদ্ধ ও পুনঃ প্রকাশিত হয়ে আরোগ্য লাভ করে। রোগী মনে ভাবে তার মাথাটি খুব বড় হয়েছে, কেবল মাথা নয়—চোখ, হাত, হাতের আঙ্গুলগুলিও বড় হয়েছে। রোগের বিষয় চিন্তা করলে বৃদ্ধি। (অকজেলিক অ্যাসিডের মত) চোখের দুর্বলতার জন্য সূর্য্যালোক ও গ্যাসের আলোক সহ্য না হওয়া, দৃষ্টিশক্তির অভাব, চোখ লালবর্ণ হয় এবং চোখ হতে পানি পড়ে ও জ্বালা করে। রোগী তার রোগের চিন্তায় অবসন্ন হয়ে পড়ে। রোগীর জিহবার উপর সাদা লেপ এবং সেটাতে দাঁতের দাগ পড়ে (মার্ক, রাস, ট্র্যামো)।
প্রদর্শক লক্ষণ। ১৪ দিন অন্তর লক্ষণ ঘুরে আসে। ২১ দিন অন্তর সর্দি হয়। যন্ত্রণা শরীরের এক অংশ হতে অন্য অংশে যায়। আক্রমণ হঠাৎ আসে, ধীরে ধীরে যায় বা ধীরে আসে হঠাৎ যায়। শরীরের নানাস্থানে চুলকানি, ছোট ছোট আঁশের মত ছাল উঠে যায়। উরুতে বেদনা, গরম পানি ঢালিলে উপশম। ঠান্ডা পানিতে ধুইলে চুলকানির উপশম হয়। লক্ষণের বিষয় ভাবিলে বৃদ্ধি হয়। গর্মি-রোগ, বহু বৎসর চাপা ছিল, আর্স-মেট খাওয়ায় তা পুনরায় প্রকাশ পায়। রোগী ভাবে তার আক্রান্ত স্থান স্ফীত হয়েছে (ভিরেট্রাম অ্যাল্ব)। যা পড়ে তা মনে থাকে না। ভয় পায় কেউ তাকে বিষ খাওয়াইবে (হায়োসায়েমাসের মত)। মুখের উপর ছোট ছোট ফোঁড়া।
বৃদ্ধি — গরম পানিতে ধুইলে; বাঁ দিকে শুইলে; রোগের কথা চিন্তা করলে; ডান দিকে।
হ্রাস। গরম পানিতে, চুলকানি; ঠান্ডা পানিতে ধুইলে।
শক্তি।–৩য় দশমিক হতে ৬ষ্ঠ দশমিক।