অ্যান্টিমোনিয়াম–আর্সেনিকোসাম (Antimonium Arsenicosum)
পরিচয়। আর্সেনিক ও অ্যান্টিমনি সহযোগে বিচূর্ণাকারে এই ঔষধটি প্রস্তুত হয়।
ব্যবহারস্থল। —এই ঔষধ নিউমোনিয়া, ফুসফুসের স্ফীতি, হৃদ্বেষ্ট-প্রদাহ, ফুসফুস-আবরণ প্রদাহ, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি রোগে সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়। যদি কোন রোগীর অ্যান্টিম-টার্টের মত ঘড়ঘড়ে কাশি, জ্বর ও নাকের পাতা উঠানামার সাথে আর্সেনিকের মত পিপাসা, শ্বাসকষ্ট, ছটফটানি, দুর্বলতা বিদ্যমান থাকে, সেইখানে এই ঔষধটি মন্ত্রশক্তির মত কাজ করে।
হাঁপানি।— শ্বাসকষ্টের সাথে বুক ঘড়ঘড় শব্দবিশিষ্ট শ্লেষ্মা, অস্থিরতা এবং পিপাসা, রোগীর দম আটকান ভাব। মধ্যরাত্রির পরে বৃদ্ধি। আর্সেনিকের সাথে অনেক বিষয়ে সাদৃশ্য আছে। আর্সেনিকের রোগীর হাঁপানির টান মধ্যরাত্রির পরে বাড়ে, শুইলে বৃদ্ধি; রোগীকে উঠে বসে থাকতে হয়, অস্থিরতা। অ্যারালিয়া-শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হাঁপানি, রোগী শুইতে পারে না, হাঁটু ও কনুয়ের উপর ভর দিয়ে তাকে সমস্ত রাত্রি বসে থাকতে হয়। এটার আর একটি বিশেষ লক্ষণ এই যে রোগী প্রশ্বাস সহজে ফেলতে পারে, কিন্তু নিঃশ্বাস টেনে নিতে তার অত্যন্ত কষ্ট হয়। (অস্থিরতার সঙ্গে নিঃশ্বাস গ্রহণে কষ্ট – আর্সেনিক, ব্রোমিন; অস্থিরতার সঙ্গে নিঃশ্বাস ত্যাগে কষ্ট – অ্যাসি-হাইড্রো, কুপ্রাম-মেট)।
ফুসফুসের বায়ুস্ফীতি (emphysema) রোগে রোগীর লক্ষণ আহারের পর বা শয়ন করলে বৃদ্ধি পায়। শিশুদের নিউমোনিয়া রোগে, ফুসফুস-বেষ্টনীর প্রদাহের (প্লুরিসি) প্রথমাবস্থায় এবং হৃদ্ বেষ্ট-প্রদাহের (পেরিকার্ডাইটিস) সঞ্চিত রস নিঃসরণ করতে এই ঔষধের ক্ষমতা আছে। বাঁদিকে প্লুরিসি। হাঁপ খুব বেশী।
শক্তি।—অনেকে উচ্চশক্তিতে উত্তম ফল পেয়েছেন। ৩x ও ৬x চূর্ণই অধিক ব্যবহৃত হয়।