অ্যান্থিমিস্নোবেলিস (Anthemis Nobilis)

ব্যবহারস্থল।—এই ঔষধটি অজীর্ণ, পাকযন্ত্রের গন্ডগোল, সর্দি-কাশি এবং গলার ভিতর সঙ্কোচন লক্ষণে কার্যকরী। অ্যান্থিমিসের রোগী সর্বদাই বিষাদাচ্ছন্ন। মনে ভাবে বিপদ আসন্ন।

সর্দি।বিছানা হতে উঠবার সময় চোখ হতে অপৰ্য্যাপ্ত অশ্রুপাত, নাক হতেও পরিষ্কার পানির মত শ্লেষ্মাস্রাব হয় (ইউফ্রে)। এটার অশ্রুপানি ইউফ্রেসিয়ার মত হাজনশীল বা ক্ষতকর, যে স্থানে লাগে হেজে যায়।

কাশি। বৈকালে রোগীর তালুমূলে সুড়সুড় করে কাশির উদ্রেক হয়, অনেকক্ষণ কাশবার পর সুড়সুড়ানি কমে যায়। উষ্ণ গৃহে কাশির বৃদ্ধি, কিন্তু রাত্রে বিছানায় শয়ন করলে উপশম হয় (ম্যাঙ্গে. উইফ্রে, ম্যান্সিনেলা)।

অজীর্ণ। রোগী সর্বদাই তার যকৃৎ প্রদেশে বেদনা অনুভব করে, সেই রঙ্গে পেটের ভিতরও মোচড়ান বেদনা এবং মলদ্বারে চুলকানির সাথে কাদার মত আঠা আঠা (প্লাটিনাম, সালফার) মলত্যাগ হয়।

এটা হাজা বা শীতস্ফোটকের জন্য কার্যকরী। রোগীর বার বার মূত্রত্যাগ করার প্রবল ইচ্ছা হয়। মূত্রনলীর স্ফীতি ও রেতঃরজ্জতে বেদনা।

শক্তি।–৩, ৬, ৩০।

 

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!