অ্যান্হ্যালোনিয়ামলিউনাই (Anhalonium Lewini)

ব্যবহারস্থল। —মস্তিষ্কের ক্লান্তি; প্রলাপ; শিররোগ; ভ্রম-দর্শন, পক্ষাঘাত; দৃষ্টির দোষ; আধকপালে শিরঃরোগের ক্ষেত্রে উপযোগী।

এটার রোগী জাগ্রত অবস্থাও স্বপ্ন দেখে এবং সকলকেই সন্দেহের চোখে দেখে (অ্যানাকার্ড হায়ো) মনে ভাবে যেন প্রত্যেকেই তাকে উপহাস করে, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুগণের সাথে সর্বদাই রেগে কথা বলে, এমন-কি সুযোগ পেলে অত্যাচার করতে পশ্চাৎপদ হয় না। রোগীর আত্মগরিমা অত্যধিক, নিজেকে নিজে খুব বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাশালী মনে ভাবে (প্ল্যাটিনাম-তুলনীয়)। এনান্থিয়াম রোগীর হামবড়া ভাব অত্যধিক, সে নিজের প্রত্যেক কার্য্যেই খুব গর্ব প্রকাশ করে। প্ল্যাটিনাম রোগী ভাবে সকলেই হীন ও ক্ষুদ্র এবং সেজন্য সকলকেই তাচ্ছিল্যের চক্ষে দেখে। আনহোলিয়াম রোগী কথা বলবার সময় বা বক্তৃতা দিবার সময় মনের ভাব প্রকাশ্যোপযোগী বাক্য মনে আনতে পারে না ! এটার আর একটি অত্যন্ত মূল্যবান লক্ষণ রোগী মনে করে যেন নানা প্রকারের বিচিত্র মূৰ্ত্তি নানা ভঙ্গিমায় তার সম্মুখে গীত-বাদ্যের তালে তালে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে। রোগীর সময় সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নেই, সামান্য সময়কেও দীর্ঘ মনে করে। ক্যানাবিস ইন্ডিকার রোগীর নিকটও অল্প সময় দীর্ঘ বলে মনে হয় যেন বহুদিন বা বহু বৎসর (Seconds seem ages), আবার কয়েক গজ বহুদূর বলে মনে হয়। মাংসপেশীর ক্রিয়ার বিশৃঙ্খলা অপর বিশিষ্ট লক্ষণ। মস্তিষ্কে ভয়ানক ক্লান্তি ও সেই সাথে গা-বমি-বমি বোধ করে। মাথার যন্ত্রণা সাধারণতঃ কপালের বামদিকেই বেশী, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির বিকৃতি। ঐ বেদনা ৪/৫ দিন পর্য্যন্ত থাকে। বেদনা এত বেশী যে, রোগী অকৰ্ম্মণ্য হয়ে পড়ে ও চোখের তারা দুইটি বড় হয়। ডাঃ ক্লার্ক বলেন— এই ঔষধ সাধারণতঃ শিরঃরোগ, অবসাদ, প্রলাপ, ভ্রম-দর্শন, চিত্ত-বিভ্রম, আধকপালে বেদনা, স্নায়বিক উত্তেজনা, নিম্নাঙ্গের পক্ষাঘাত, ইন্দ্রিয়-বৈকল্য প্রভৃতি রোগে উপযোগী। এটার প্রায় সকল লক্ষণ চোখ মুদ্রিত করলে বৃদ্ধি হয়; চলাফেরা করলে মূৰ্চ্ছা ও বমনেচ্ছা বৃদ্ধি হয়। শয়নে রোগের উপশম।

শক্তি।নিম্নশক্তিই ব্যবহার্য, কদাচিৎ ৩য় ও ৬ষ্ঠ শক্তি।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!