অ্যানান্থেরাম–মিউরিকেটাম (Anantherum Muricatum)
পরিচয়।‘খস-খস’ ঘাসের মূল হতে এই ঔষধটি প্রস্তুত।
ব্যবহারস্থল।—এটা চর্মরোগের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বেদনাপূর্ণ স্ফীতি পেকে পুঁজ হওয়ার উপক্রম হলে এই ঔষধটি ফলপ্রদ। কেশদাদ, ক্ষত, অর্বুদ, ফোড়া, চোখের ভ্রুতে আঁচিল, নাকের ডগায় ফোঁড়া; জিহবা ফাটা ফাটা, প্রচুর লালাস্রাব ইত্যাদি।
প্রদর্শক লক্ষণ।— রোগী কারও সাথে মিশিতে পারে না। জনসমাগমকে ভয় করে। টনসিলের ফোলা, গলার মধ্যে টান টান ভাব, গিলতে কষ্ট। মাথায় সূঁচফোটান বেদনা; বৈকালে বৃদ্ধি। চলবার সময় ও ঘুমাবার সময় প্রস্রাব হয়ে যায়। মূত্র ঘোলাটে, বার বার বেগ ও সামান্য মূত্র। স্তনের টিউমার, তাতে ঘা হয়, শক্ত। ভ্রূতে আঁচিল। দাড়ির ও ভ্রূর চুল উঠে যায়। শরীরে যেন পিপীলিকা চলছে এরূপ বোধ। ঘা হতে দুর্গন্ধস্রাব। নিঃশ্বাসে গন্ধ। পচা ঢেঁকুর উঠে হাতের নখ বিকৃত। পায়ে দুৰ্গন্ধ ঘাম।
সমাজ–ভীতি লক্ষণে তুলনীয়। –অরাম – উপদংশাদির জন্য রোগীর ভয়ানক সমাজ-ভীতি জন্মে। ব্যারাইটা-কার্ব—রোগী জনাকীর্ণ স্থানে যেতে চায় না, ভাবে কেউ তাতে উপহাস করছে। সাইকিউটা —সকল লোককেই সন্দেহের চোখে দেখে, সেজন্য রোগী কারও নিকট যেতে চায় না। কেলি-বাই – লোক-সঙ্গ মোটেই ভালবাসে না। লাইকোপোডিয়াম —অধিক লোকের সমাগম ভালবাসে না, আবার একাকী থাকতেও ভয় পায়। সিপিয়া –রোগিণী পুরুষের সঙ্গ পছন্দ করে, কিন্তু বেশী লোকের সম্মুখে যেতে ভয় পায়। র্যাফেনাস—পুরুষ পুরুষের নিকট যেতে ভীত হয় এবং রমণী রমণীর নিকট যেতে ভয় পায়। ষ্ট্যানাম –কোন কাজ করতে ভয় পায়, কারণ তার বিশ্বাস, সে যে কাজে হাত দিবে তা ভালরূপে সম্পন্ন হবে না। অ্যানান্থেরাম রোগী খুব নির্জনপ্রিয়। তার হামবড়া ভাব খুব বেশী।
বৃদ্ধি।—বিকালে; বর্ষাকালে; মদ সেবনে; কফি পানে।
শক্তি।–৩x, ৬x, ১২, ৩০।