অ্যামোনিয়ামবেঞ্জোয়িকাম (Ammonium Benzoicum)

ব্যবহারস্থল।—গেঁটেবাত, ক্ষুদ্রসন্ধিবাত, শোথ, উদরী, অ্যামিনুরিয়া, জিহবামূলে অর্বুদ, সন্ধিবাত প্রভৃতি রোগে ফলপ্রদ। ডাঃ হেরিং ও কিচেন বলেন—উপরোক্ত রোগে যে ক্ষেত্রে অ্যাসিড- বেঞ্জোয়িক ফলপ্রদ, সেখানে এই ঔষধও উপযোগী

উদরী ও শোথ।—উদরী রোগীর প্রস্রাব অতি অল্প হয় এবং সেটার বর্ণ ঘোর লাল। প্রস্রাবে অ্যালুমেন পাওয়া যায়, ঝাঁজাল গন্ধ বের হয় এবং সময় সময় রক্তের মত লালবর্ণের প্রস্রাব হয়। সন্ধিবাত। —সন্ধিবাতগ্রস্ত রোগীদের প্রস্রাবে অ্যামেন থাকে। অ্যামন-ফস পুরাতন গেঁটেবাত রোগে, আর এটা তরুণ ও প্রাচীন উভয়বিধ বাতেই কার্যকরী। অঙ্গুলির সন্ধিস্থলে লিথিয়েট-অভ্-সোডিয়াম জমে ছোট ছোট ঢিবলির মত হয়। সদৃশ ঔষধের জন্য অ্যামন-ফস দেখুন।

স্ফীতি।—এতে নানাস্থানের স্ফীতি দেখা যায়, যেমন—চোখদ্বয় স্ফীত হয়। জিহবা-স্ফীতিতে মনে হয় যেন জিহবায় একটি অর্বুদ হয়েছে। জিহবার অর্বুদের জন্যও এটা একটি কার্যকরী ঔষধ। প্রস্রাব। —প্রস্রাব গাঢ় ঘোলাটে এবং অ্যামেন মিশ্রিত; প্রস্রাব হতে ঘোড়ার প্রস্রাবের মত ঝাঁজাল গন্ধ বের হয়। প্রস্রাব পরিমাণে খুব কম, সময় সময় রক্ত মিশ্রিত। ঝাঁজাল উগ্রগন্ধ প্রস্রাবের জন্য অ্যাসিড-বেঞ্জোয়িক ও অ্যাসিড-নাইট্রিক দ্রষ্টব্য।

ন্যাবা*— পিত্তের ক্রিয়া সুচারুরূপে না হয়ে ন্যাবা হলে, অ্যামন-বেঞ্জোয়িক কার্যকরী। প্রস্রাব পূর্ববর্ণিত রূপ হয় এবং নাক, মুখ, চোখ একটু ফোলা ফোলা দেখা যায়। শিশুদের রোগে যখন যকৃৎ সঙ্কুচিত হয়ে শোথ বা উদরী হয় তখন এই ঔষধটি লক্ষণানুসারে রোগ শীঘ্রই আরোগ্য করে থাকে।

* ন্যাবা বা কামলা রোগে লেবু ব্যবহার্য্য। কমলালেবু, পাতিলেবু, কাগজিলেবু ও বাতাবীলেবু বেশী ব্যবহৃত হয়।

শক্তি।—৩x, ৬x বিচূর্ণ।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!