অ্যামোনিয়াম–ফস্ফোরিকাম (Ammonium Phosphoricum)
ব্যবহারস্থল। —পুরাতন গেঁটে-বাত রোগে এই ঔষধ বিশেষ ফলপ্রদ। পুরাতন গেঁটে-বাত রোগীর আঙ্গুলের জোড়গুলতে বা হাতের পিঠে কঠিন শক্ত শক্ত ঢিবলি উৎপাদিত হয় এবং বাহু বাঁকা ও বিকৃতাকার হয়। ডাঃ ফ্যারিংটন বলেন—এটা রোগের তরুণ অবস্থায় ব্যবহৃত হয় না, যখন গাঁটে খড়িগুঁড়ার মত এক প্রকার পদার্থ জমে (nodosities or hard concretion around gouty parts) আক্রান্ত অস্থি বেঁকে বিকৃত হয়, রোগ ধাতুগত হয়ে দাঁড়ায় তখনই এটা ব্যবহৃত করতে হয়।
সদৃশ ঔষধ।— অ্যামন-বেঞ্জোয়িক—গেঁটে বাত অঙ্গুলির সন্ধিতে লিথিয়েট অব্ সোডা জমে ছোট ছোট ঢিবুলি হয়। কচিকাম – সন্ধিসকলে বেদনা এবং স্ফীতি; সামান্য স্পর্শও সহ্য করা যায় না। গোঁড়ালিতেও বেদনা, রোগী খাদ্যদ্রব্যের বিশেষতঃ মাছ, মাংসাদি আমিষ খাদ্যের রন্ধনও সহ্য করতে পারে না। ল্যাটিক-অ্যাসিড—স্কন্ধদেশে এবং সন্ধিতে—বিশেষতঃ মণিবন্ধে, হাঁটুতে অত্যধিক দুর্বলতাসহ বাতের বেদনা, ঘন ঘন প্রচুর পরিমাণ প্রস্রাব হয়, বহুমূত্র দোষ থাকলে এটা অধিকতর উপযোগী হয়ে থাকে। ইথিওলাম— পুরাতন গেঁটেবাত, প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড ডিপজিট। গুয়েকাম—হাঁটুতে এবং গোঁড়ালতে বাত-বেদনা এবং যন্ত্রণা; তরুণ অবস্থাতেই বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পেট্রোলিয়াম –গাঁটে বেদনা, হাঁটু শক্ত এবং সেটাতে খোচামারা বেদনা। পুরাতন অবস্থায় বিশেষ উপযোগী। ফৰ্ম্মিকা—শক্ত, গেঁটেবাত, বেদনা টেনে খেঁচে ধরার মত, নড়াচড়া করলে বাড়ে। ড্যাফনি-ইন্ডিকা – ডান বুড়ো আঙ্গুল, উরু এবং হাঁটুতে বেদনা, হাড়ে কামড়ানি বেদনা, যাহার জন্য রাতে নিদ্রা হয় না। অ্যাঙ্গাষ্টুরা-ভিরা—দুই হাঁটুর গাঁটে বেদনা, গাঁট আড়ষ্ট, ভিতরে মডুমডু শব্দ। রোগী অত্যন্ত অনুভূতিশীল।
মুখের পক্ষাঘাত রোগেও এটা চমৎকার ঔষধ। ঘাড়ের বাত বেদনা এটা দ্বারা নিরাময় হয়ে থাকে। এটা সাধারণতঃ পুরাতন রোগেই ফলপ্রদ।
সকালে খুব হাঁচি হয়ে থাকে, সেইসঙ্গে নাক ও চোখ দিয়ে প্রচুর পানি পড়ে। নাড়ী কঠিন, ক্ষুদ্র ও দ্রুত। মাথা খুব ভারী বোধ হয়।
শক্তি। নিম্নশক্তিই ব্যবহাৰ্য্য।