অ্যালো–সকোট্রিনা (Aloe Socotrina)
পরিচয়। মুসব্বর
ব্যবহারস্থল। —উদরাময়, বিশেষ করে প্রাতঃকালীন উদরাময়, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, যক্ষ্মারোগ, অর্শ, সরলান্ত্রের রোগ, সরলান্ত্রের প্রদাহ, গুহ্যদ্বার চ্যুতি, প্রষ্টেট গ্রন্থির রোগ, পুরাতন প্রমেহ, কাশি, শিরঃরোগ, রক্তস্রাব, গুল্মবায়ু প্রভৃতি রোগ।
ক্রিয়াস্থল।—গুহ্যদ্বার, পাকাশয় ও অস্ত্রেই এটার প্রধান ক্রিয়া।
প্রদর্শক লক্ষণ।— গুহ্যদ্বারের পেশীর শিথিলতা, প্রস্রাব করার সময় বা বায়ুনিঃসরণের সময় রোগী মলত্যাগ করে ফেলে, মলত্যাগের বেগ হলে অপেক্ষা করতে পারে না। পেটের মধ্যে কল কল, গড় গড় শব্দ, এই শব্দ খুব জোরে হয় ও মনে হয় যেন বোতল হতে পানি পড়ছে। উদরাময়ের বৃদ্ধি ভোর হতে বেলা ৯/১০টা পৰ্য্যন্ত, নাভির চতুর্দিকে যন্ত্রণা (আমাশয়), সামনের দিকে ঝুঁকলে বা সামনের দিকে হেঁট হলে উপশম। মলত্যাগের পূর্বে পেটে যন্ত্রণা, মলত্যাগের সময়ও যন্ত্রণা, কিন্তু বাহ্যে হয়ে যাবার পর উপশম নাক্স ভমিকাতেও এই প্রকারের লক্ষণ আছে, মলত্যাগের পূর্বে পেটে বেদনা, কিন্তু মলত্যাগের পরে বেদনার উপশম। বাহ্যে করতে করতে ক্ষুধা পায়, ক্ষুধায় অস্থির হয়। মলত্যাগের সময় রোগীর শীত করে, সে যেন মূৰ্চ্ছা যায়। মলত্যাগের পর দুর্বল হয়ে পড়ে। মলত্যাগ করার পর প্রচুর পরিমাণে চট্চটে ঘাম হতে থাকে। নীচের পেট ফুলা, সেখানে হাত দিতে দেয় না, গুহ্যদ্বারে উত্তাপ ও তলপেট ভারি বোধ করে। পেটে লিভারের জায়গায় ভারি বোধ, বেদনা এবং টাটানি। যকৃৎস্থানের বেদনা বক্ষঃদেশ পৰ্য্যন্ত প্রসারিত। বাত ও শিরঃরোগ ঘুরে ঘুরে উপস্থিত হয়। পেটে যে বায়ু জমে তাতে দুর্গন্ধ এবং সেই বায়ু বের হওয়ার সময় মলদ্বারে জ্বালা করে। খোলা বাতাসে কষ্ট কম থাকে। রোগী অত্যন্ত শৈত্যপ্রিয়; ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে চায়। আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা চায়। মলত্যাগের সময় সমস্ত শরীরে গরম বোধ হয়। দেহ গরম কিন্তু জ্বর নেই (পালস)। অর্শের বলিগুলি আকারে বড়, টাটানি, যন্ত্রণা ও গরম বোধ হয়। ঠান্ডা পানি লাগালে কষ্ট দূর হয়। অর্শের বলি নীল, আঙ্গুরের থোকার মত দেখায়, রক্ত পড়ে, টাটায়, হাত দেওয়া যায় না, খুব চুলকায়। মলত্যাগের তাড়ায় রাত্রে অনেক সময় ঘুম ভেঙে যায়। সকালে বিছানা ছেড়ে রোগী পায়খানার দিকে দৌড়ায়। সাম্ফার ও রিউমেক্স ঔষধেও এই প্রকার লক্ষণ আছে। বাহ্যে যাবার সময় রোগী একেবারেই বুঝতেই পারে না যে বাহ্যে হচ্ছে। এমন কি অনেক সময় শক্ত ডেলা মলও অজ্ঞাতসারে বের হয়ে যায়। ডাঃ ন্যাস এই লক্ষণে একটি কঠিন রোগীকে আরোগ্য করেছিলেন। অ্যালোতে মলদ্বার পেশীর (Spincter ani) আকুঞ্চন শক্তির অভাব বশতঃ অসাড়ে মলত্যাগ হয়। রাতে অসাড়ে মলত্যাগ আর্ণিকা এবং হায়োসায়েমাস ঔষধেও আছে। আর্ণিকায় অনেক সময়ে কঠিন মলও অসাড়ে বের হয়ে থাকে। আমাশয়ের মল সাদা সাদা ও থোকা থোকা। রোগী মাংস খেতে চায় না।
মন। -অ্যালোর রোগী কোনরূপ মানসিক পরিশ্রম করলে অত্যন্ত ক্লান্তি বোধ করে, রোগে ভুগে ভুগে অত্যন্ত খিটখিটে স্বভাবের হয়, ভাল কথাও সহ্য করতে পারে না। রোগীর সমস্ত রোগ-যন্ত্রণা মেঘাচ্ছন্ন দিনেই বেশী হয়। অত্যধিক অবসাদবায়ুগ্রস্ত।
উদরাময়। —মল হরিদ্রাবর্ণ কখন কখনও রক্তমিশ্রিত; অথবা সাদা “নীলশানির” (জেলির) মত আমযুক্ত; বাহ্যে যাবার পূর্বে পেটে হড়হড় গড়গড় শব্দ হয়, মলত্যাগের পূর্বে পেটে বেদনা করে এবং মলত্যাগের সময় হারিশ বের হয়ে পড়ে। বায়ুনিঃসরণ করার সময়ে বা প্রস্রাব করতে বসলে অনেক সময় অসাড়ে বাহ্যে হয়ে যায়। মলের সাথে যথেষ্ট বায়ু বের হয়। সদৃশ। —ওলিয়েন্ডার – বায়ুনিঃসরণের সময় কাপড় নষ্ট হয়। সাধারণতঃ সকালেই ঐরূপ ভাব বেশী হয়। পূর্বদিনের আহার্য্য দ্রব্য আস্ত মলের সাথে বের হয়। অ্যাসিড-মিউর— প্রস্রাব করার সময় অসাড়ে মলত্যাগ করে। বায়ু নিঃসরণের সঙ্গেও কাপড়ে মল লাগে ও গোগ্গুল বা হারিশ বের হয়ে পড়ে, কিন্তু অ্যাসিড-মিউর অ্যালোর মত ঠান্ডা চায় না। প্রাতঃকালীন উদরাময়ে অ্যালো একটি মূল্যবান ঔষধ। রোগীর গুহ্যদ্বারের পেশীর উপর বিশ্বাস নেই। মলের বেগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে মলত্যাগের জন্য বিছানা ছেড়ে উঠতে হয় (সাম্ফার), কারণ তাড়াতাড়ি মলত্যাগের জন্য ছুটে না গেলে পরিধানের বস্ত্ৰ, বিছানা ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যাবে, এই ভয় হয়। মলত্যাগের পর অত্যধিক ঘাম এমন কি মূৰ্চ্ছা লক্ষণও এই ঔষধে আছে। মলত্যাগ করার পূর্বে নাভির চারিদিকে বেদনা করে, কিন্তু মলত্যাগের পরই উপশম বোধ হয়। মলত্যাগের সাথে যথেষ্ট বায়ু বের হয়। ভোর হতে বেলা ৯/১০টা পর্যন্ত এমন তরল মল বের হয়।
সদৃশ-ঔষধ।—ব্রাইয়োনিয়া—আহারের গোলমালে, বিশেষতঃ গ্রীষ্মকালের প্রারম্ভে উদরাময়। সকালেই অধিক মলত্যাগ করে এবং সামান্য চলাফেরার পর বেগ দেয়। নেট্রাম-সাক্ষ ঘুম হতে উঠে একটু পায়চারি করার পরই মলত্যাগের বেগ, মলত্যাগের রং হলদে, বাহ্যে তরল কখন কখনও সবুজ পিত্তমিশ্রিত ও ঘন। বায়ুনিঃসরণ সহ জোরে মলত্যাগ করে এবং মল পায়খানার চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সালফার এটার মলত্যাগের বেগ হঠাৎ আসে ও হড়াৎ করে বের হয়। রোগী বিছানায় শুয়ে আছে, মলত্যাগের বেগ হলে আর বিলম্ব সহে না। সাকারে হাতে-পায়ে জ্বালা এবং স্নানে অনিচ্ছা চরিত্রগত লক্ষণ। পডোফাইলাম এটার বাহ্যে প্রচুর দুর্গন্ধযুক্ত এবং খুব তোড়ে বের হয়, বাহ্যে বের হওয়ার পর পেটটি পড়ে যায়, কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার পেট ফুলে উঠে। এটার মলত্যাগের রং হলুদাভ বা ঈষৎ সবুজ, পানির মত তরল। সেটাতে ময়দা গুঁড়ার মত সাদা তলানি পড়ে। নুফার- লুটিয়া – ভোরে ৪-৭টার মধ্যে উদরাময়ের বৃদ্ধি, মল তরল হরিদ্রাবর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত অথচ বেদনাহীন। উদরাময়ের পর রোগী অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। রিউমেক্স – এটার উদরাময় সাল্ফার ও পডোফাইলামের মত। ভোরবেলা খুব মলত্যাগ করে, কিন্তু বিকালে মলত্যাগের পরিবর্তে শুষ্ক কাশি, গলা সুড়সুড় করে ঘন ঘন শুষ্ক কাশি হয়।
আমাশয়। — পুরাতন আকারের আমাশয় রোগ। মলত্যাগের পূর্বে নাভির চতুর্দিকে খুব ব্যথা ও সামনের দিকে ঝুঁকলে বেদনার উপশম। এটার আমাশয়ে প্রত্যেকবার মলত্যাগের সময় অনেকটা করে সাদা থোকা থোকা আম বের হয়, পেটের ভিতর গড়গড় করে ডাকে, সেটা আহার ও পানি পানের পর বাড়ে। রোগী ঠান্ডা স্থান ও ঠান্ডা জিনিষই বেশী পছন্দ করে। নাক্সেও এরূপ লক্ষণ আছে, কিন্তু নাক্সের রোগী শীতকাতর, অ্যালো ঠান্ডা চায়।
অর্শরোগ। —অ্যালো অর্শরোগের একটি প্রকৃষ্ট ঔষধ। মলত্যাগের বেগের সাথে আঙ্গুরের থোকার মত বড় আকারের অর্শবলি বের হয়ে পড়ে; সেটা অত্যন্ত চুলকায় ও জ্বালা করে। অর্শবলি হতে রক্ত পড়ে; ঠান্ডা পানিতে চুলকানি উপশমিত হয়।
সদৃশ। -অ্যাসিড-মিউর —এটাতেও আঙ্গুরের থোকার মত নীলাভ অর্শবলি বের হয় কিন্তু গরম পানি ও গরম সেঁকে উপশম। কলিঙ্গোনিয়াতেও রক্তস্রাবী অর্শ আছে, কিন্তু কোষ্ঠবদ্ধতাই সেটার প্রবলতম লক্ষণ। উপরন্তু মনে হয় যেন গুহ্যদ্বারে ছোট ছোট তীক্ষ্ম কাঠি খোঁচাইতেছে, সরলান্ত্রে একটা সঙ্কোচ ভাবও বর্তমান। মলদ্বারে চুলকানি। দুর্দম্য কোষ্ঠবদ্ধতা থাকলেও সময়ে সময়ে উদরাময়ের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হয়। ইঙ্কিউলাসের অর্শে—কোষ্ঠবদ্ধতার প্রাধান্য। সেটা প্রায়ই রক্তস্রাবী হয় না, আবার সময়ে সময়ে সামান্য রক্তস্রাবও হতে পারে। কলিন্সোনিয়ার মত এটারও গুহ্যদ্বারে ছোট ছোট তীক্ষ্ণ কাঠি দ্বারা খোঁচাইতেছে এমন মনে হয়। গুহ্যদ্বারে জ্বালা। আর্সেনিক -অত্যন্ত জ্বালাকর অর্শ যা গরম পানি বা সেঁকে উপশম হয়, তাতে আর্সেনিক বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অধিকন্তু এতে আর্সেনিকের বিশেষ লক্ষণ – মানসিক উদ্বেগ, অস্থিরতা, মধ্যরাত্রির পরে বৃদ্ধি লক্ষণ আছে। হ্যামামেলিস–অর্শরোগের অন্যতম উৎকৃষ্ট ঔষধ। অর্শ হতে প্রচুর পরিমাণে রক্তস্রাব হয়, কিন্তু রক্ত কাচে, লাল নয়। হ্যামামেলিস লোশন বাহ্যপ্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। র্যাটাহিয়া- মলত্যাগের পরে অসহ্য জ্বালা, ঠান্ডা প্রয়োগে সাময়িক উপশম হয়। মনে হয় যেন মলদ্বারে ভাঙা কাঁচখন্ড হতে যন্ত্রণা দিচ্ছে (ইস্কিউলাস, নেইট্রিক অ্যাসিড এবং থুজাতেও এই প্রকারের অনুভূতি আছে)। ক্ষুদ্র ক্রিমি থাকলে এটা অধিকতর উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শিরঃরোগ ও কটিবাত। –যকৃৎ-বিকৃতিহেতু শিরঃরোগে অ্যালো কাজে আসে। শিরঃরোগের যন্ত্রণা সম্মুখভাগেই বেশী। উত্তাপে ও গরমের দিনে মাথাব্যথা বাড়ে এবং মাথা ঠান্ডা পানিতে ধুইলে বা কোন ঠান্ডা জিনিষ মাথায় লাগালে উপশম হয়। মাথায় যন্ত্রণার পূর্বে প্রায়ই কোষ্ঠবদ্ধতা উপস্থিত হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা ও কটিবাত ঘুরে ঘুরে উপস্থিত হয়। সুতরাং অ্যালো কটিবাতের ঔষধ। কিছুদিন পরে প্রায়ই উদরাময় দেখা দিয়ে সকল যন্ত্রণার নিবৃত্তি হয়।
যকৃৎ রোগ।— যকৃত স্থানে সদা স্থায়ী বেদনা ও ভারী বোধ হওয়া এবং সেই সাথে কোষ্ঠবদ্ধতা অ্যালোর লক্ষণ। রোগীর তিক্ত ঢেঁকুর উঠে। ডান পাঁজরার নিম্নে বেদনা করে। কখন কখনও যকৃৎ স্থান হতে বুক পৰ্য্যন্ত সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা ও শ্বাসকৃচ্ছতা দেখা দেয়।
চর্মরোগ।—শীতকালের প্রারম্ভেই খোস-পাঁচড়া দেখা দেয়। এই লক্ষণটি সোরিণামে ও পেট্রোলিয়ামে আছে। শীতকাল ক্ৰমান্বয়ে খোস-পাঁচড়া হতে থাকলে সোরিণামই ব্যবস্থেয়, কিন্তু সোরিণাম শীতকাতুরে; আর অ্যালো ঠান্ডায় ভাল থাকে। প্রতি বৎসর শীতকালে পেট্রোলিয়াম জ্ঞাপক-রোগীর হস্ত, পদ, মুখমন্ডল ফাটে এবং সেটা হতে রক্তপাত হয়।
কটিবাত (Lumbago)।–কটিবাত বা কোমরে বেদনা, সামান্য নড়াচড়ায় বাড়ে। উদরাময়ের সঙ্গে অথবা অর্শের সঙ্গে পর্য্যায়ক্রমে উপস্থিত হয়। তুলনীয়।— পৰ্য্যায়শীলতা, উদরাময় ও শোথ – অ্যাপোসাইনাম। গেঁটেবাত ও হাঁপানি—সালফার। চর্মরোগ ও হাঁপানি – হিপার-সাল্ফ, ক্যালিয়া, সাল্ফার। বাত ও অর্শ বা উদরাময় –অ্যাব্রোটেনাম, অ্যান্টিম-ক্রুড, কেলি- বাইক্রম। শীতকালে ক্রুপ ও গ্রীষ্মকালে গৃধ্রসী বাত বা সায়েটিকা—ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া।
স্ত্রীরোগ।–জরায়ুর স্থানচ্যুতি, সেইসঙ্গে কোমর, পিঠ ও পেটে ভারবোধ। রোগিণী তলপেটে ও সরলান্ত্রে উত্তাপ বোধ করেন। জরায়ুর স্থানচ্যুতির সাথে অর্শরোগে অ্যালোই নির্দেশিত হয়। (জরায়ুর স্থানচ্যুতিতে আরও কতকগুলি ঔষধ নির্দিষ্ট আছে; নিম্নলিখিতগুলি প্রধান এবং অন্যান্য লক্ষণ দেখে তাদের পার্থক্য নির্ণয় করতে হয়—অ্যাবিস্-ক্যানাডেন্সিস, অ্যালেট্রিস, অরাম-মিউর- ন্যাট্রনেটাম, কলিসোনিয়া, ফেরাম-আয়োডেটাম, হেলোনিয়াস, লিলিয়াম-টিগ, মিউরেক্স, নাক্স – ভমিকা, পডোফাইলাম, সিপিয়া, ষ্ট্যানাম)।
অ্যালোর শিশু নিদ্রা হতে উঠলেই নাক দিয়ে রক্তস্রাব হয় এবং চোখের ভিতর যেন; কাঁচ-ভাঙ্গা পড়েছে এরূপ অনুভব করে।
সম্বন্ধ সদৃশ। — অ্যাসিড-মিউর, গ্যাম্বো, নাক্স, পড়ো। পরিপূরক—সাম্ফার। দোষম। সাম্ফার, ক্যাঙ্কার।
বৃদ্ধি।— খাওয়ার পর; রাত্রি জাগরণে; সকালে; সন্ধ্যায়; চললে; দাঁড়ালে; উত্তাপে; গরম আর্দ্র ঋতুতে; বসে থাকলে; প্রস্রাব করার সময়।
হ্রাস। ঠান্ডা পানিতে ধুইলে বা ঠান্ডা পদার্থ লাগালে; ঠান্ডা ঋতুতে; শীতকালে; বায়ু নিঃসরণে।
শক্তি।–৬. ৩০, ২০০।