ঈস্কিউলাস-গ্ল্যাব্রা (Aesculus Glabra )
পরিচয়।—এটার অপর নাম ওহিয়ো-কফি
ব্যবহারস্থল। —মলদ্বারের উপর ক্রিয়া। মলদ্বারের উষ্ণতা, সঙ্কোচন এবং প্রদাহ জন্মে কঠিন ও গুটলে মল বের হয়। মলত্যাগকালে বেদনা। হেল বলেন –মলদ্বারে অর্শের বলী, কোষ্ঠকাঠিন্য, সেই সাথে নিম্নাঙ্গের ও পৃষ্ঠাদেশের দুর্বলতা লক্ষণে উপযোগী।
প্রদর্শক লক্ষণ।— অর্শরোগ, বহির্বলতে অত্যন্ত যন্ত্রণা। নীল রঙ। সেইসঙ্গে কোষ্ঠবদ্ধতা, মাথাঘোরা। শক্ত ডেলা ডেলা মল। পা কাঁপে। পিঠের দুর্বলতা। কথা ভালভাবে উচ্চারণ করতে পারে না।
জিহবায় পক্ষাঘাত।—জিহবায় পক্ষাঘাতে কথায় জড়তা আসে।
তুলনীয়। – কেলি-ব্রোম—কথা বলতে বলতে থেমে যায়। ক্যামোমিলা—এক কথা ছেড়ে অন্য কথা বলে। নাক্স ভম—কথার অংশ ছেড়ে ছেড়ে কথা বলে। ট্রামো – ভোলা রোগী। লাইকো—কথা বলবার সময় মাত্র বাক্যাংশ ব্যবহার করে। কষ্টিকাম— পক্ষাঘাতের জন্য জিহবা আড়ষ্ট। জেলসিমিয়াম – জিহবার স্থূলতাবশতঃ বাক্শক্তি হীনতা।
অর্শরোগ। — অতিশয় কোমরে বেদনাযুক্ত মলিন বেগুনি রঙের বহির্বলিবিশিষ্ট অর্শরোগে কোষ্ঠকাঠিন্য ও শিরোঘূর্ণন থাকলে কার্যকরী। অর্শ অনেক ক্ষেত্রেই রক্তস্রাবী নয়। কার্বো-ভেজ– অর্শের বহির্বলি নীলবর্ণ। অ্যামন-মিউর–কোষ্ঠকাঠিন্য সহ অর্শ, জ্বালাযুক্ত এবং শ্লেষ্মাস্রাবী। শিশুদের মলদ্বার বহির্নির্গমনে–ফেরাম-ফস। উদরাময় সহ রক্তস্রাবে—আয়োড। প্রতিবার মলত্যাগে মলদ্বার নির্গমনে—পড়ো। প্রতিবার প্রস্রাবকালে মলদ্বার বহির্নিঃসরণে—অ্যাসিড-মিউর।
শক্তি।— ১x. ২x, ৩x, ৬xই বেশী ব্যবহৃত হয়।