অ্যাসিড-ক্রমিক (Acidum Chromicum)
ব্যবহারস্থল। —এটাও কার্বলিক-অ্যাসিডের মত একটি পচন-নিবারক, জীবাণুনাশক ও দুর্গন্ধহারক ঔষধ। ডিথিরিয়া, পশ্চাৎ দিকের নাসার অর্বুদ এবং জিহবার ক্যান্সার রোগে বিশেষ উপযোগী। এটার লক্ষণাদি হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে হঠাৎ চলে যায় এবং পুনরায় প্রকাশিত হয়।
নাকের রোগ। —নাক মধ্যে ক্ষত, মাড়ী পড়ে এবং চটা চটা ঘা হয় (অ্যাসাফি)। উদরাময় ও অর্শ।— পানির মত প্রচুর মল, বার বার মলত্যাগের ইচ্ছা, সেই সঙ্গে বিবমিষা। আভ্যন্তরিক রক্তস্রাবী অর্শরোগের সাথে কোমরের দুর্বলতা থাকলে, অ্যাসিড-ক্রমিক ব্যবহার করা চলে (সাইলি, সিঙ্কোনা, ক্যাল্কে-ফস)।
ডিফথিরিয়া।ডিথিরিয়া রোগে গলায় ক্ষত হয়, আঠার মত ঘন শ্লেষ্মা উঠে। রোগী সেটা গিলে ফেলে। সদৃশ ঔষধ। —ল্যাক-ক্যানাইনাম–বেদনা ও পর্দাপড়া পার্শ্ব পরিবর্তন করে; একবার ডানদিকে পরদিন বামদিকে উপস্থিত হয়। ল্যাকেসিস রোগ বামদিক হতে আরম্ভ করে ডানদিকে চালিত হয়, আক্রান্ত স্থান বেগুনে রং বিশিষ্ট্য। মার্ক-সায়েনেটাস –সাংঘাতিক আক্রমণে গয়ার অত্যন্ত ঘন ও তারের মত। মার্ক-প্রোটো-আয়োড—লাইকোপোডিয়ামের মত শরীরের ডানদিক অধিক আক্রান্ত হয়। পর্দা প্রথমতঃ ডানদিকেই সঞ্চিত হয়, তার পর বামদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মার্ক-বিন্ আয়োড— পর্দা বামদিকে আরম্ভ হয়, টন্সিলের উপর হলুদাভ ছাই রংয়ের পর্দা পড়তে থাকে।
সম্বন্ধ। কেলি-বাই, অ্যাসিড-মিউর, মার্ক-সল, আর্জ, থুজা।
শক্তি।– ৩x, ৬x, ৩০, ২০০।