অ্যাসিড-ল্যাকটিক (Acidum Lacticum)
পরিচয়।—ঘোল প্রভৃতি অম্লাক্ত পানীয় হতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয়।
ব্যবহারস্থল।—যে সকল রোগীর দুর্গন্ধহীন অত্যধিক ঘাম হয়, তাদের পক্ষে এটা বিশেষ উপযোগী। (গন্ধবিশিষ্ট ঘামে—সাইলিসিয়া, থুজা, নেইট্রিক অ্যাসিড)। চলবার সময় সমস্ত শরীর কাঁপে।
গর্ভবতী রমণীদের প্রাতঃকালীন বমন এবং গলার মধ্যে একটা গোলাকার মত পদার্থ আছে বোধ লক্ষণে, এই ঔষধটি কার্যকরী।
পচনশীল মুখক্ষত রোগে মুখ হতে প্রচুর পরিমাণ লালাস্রাব হলে উপযোগী।
তুলনীয়।—প্রচুর পরিমাণ লালাস্রাবযুক্ত মুখক্ষতে মার্কসলও বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বহুমূত্র।—পাকাশয় ও যকৃতের বিকৃতির ফলে বহুমূত্র রোগ হলে এই ঔষধ দ্বারা উপকার দর্শে। প্রস্রাব অত্যধিক এবং প্রস্রাবের বেগ খুব বেশী। প্রস্রাবে শর্করা বিদ্যমান থাকে। প্রস্রাবের রং হলদে, রোগীর ভয়ানক পিপাসা, বমি-বমি ভাব, শীর্ণ হয়ে যাওয়া, প্রবল ক্ষুধা এবং অত্যধিক কোষ্ঠকাঠিন্য।
স্ত্রীরোগ।— ডানদিকের ডিম্বকোষে অনবরত বেদনা, হাঁটিলে বৃদ্ধি। নির্দিষ্ট দিনের দশদিন পরে ঋতুস্রাব হয়, কখনও বা দুইদিন পূর্বে। নিম্নোদরে ও কোমরে বেদনা এবং যোনীদ্বারে চুলকানি। প্রচুর প্রদরস্রাব এবং স্রাব লেগে পরিহিত পরিচ্ছেদ হলুদবর্ণে রঞ্জিত হয়ে যায়। পা দুইখানি উঁচু করে বসলে প্রদরস্রাবকালীন সমস্ত যন্ত্রণার উপশম হয়। মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গে ফোলা এবং যন্ত্রণা কমে – ল্যাকেসিস, জিঙ্কাম; কিন্তু ঋতুস্রাবের সঙ্গে সঙ্গে বেদনা বাড়ে— সিমিসিগা, থুজা।
বাত ও সন্ধিবাত।—রোগীর সমস্ত গাঁটে তীব্র বেদনা। বেদনা রাত্রে ও সঞ্চালনে বাড়ে। গন্ধশূন্য প্রচুর ঘাম হয় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি ঠান্ডা মনে হয় এবং শরীর কাঁপে। প্রায় সকল রোগীরই নিদ্রাহীনতা দেখা যায়।
শক্তি।–৩, ৬, ৩০, ২০০।