এবিস-ক্যানাডেন্সিস (Abies Canadensis)
পরিচয়। এটাকে ক্যানডা-পিচ্ বা হেমলক-স্প্রস বলে।
ব্যবহারস্থল।—পাকাশয়ের উপর এই ঔষধের প্রধান ক্রিয়া। যকৃতের রোগ, জরায়ুর স্থানচ্যুতি প্রভৃতি রোগেও ফলপ্রদ।
ডাঃ হেল্ বলেন –অত্যন্ত ক্ষুধাবোধ, মাংস, চাটনী, মূলা প্রভৃতি দুষ্পাচ্য জিনিষে আকাঙ্খা, পাকস্থলী ও তলপেটে জ্বালা, সেইসঙ্গে বুকে ও ডান স্কন্ধাস্থির নিচের অংশে যন্ত্রণা – কোষ্ঠবদ্ধতা ও উদররোগ ঔষধটির পরিচায়ক লক্ষণ।
স্ত্রীলোকদের জরায়ুর স্থানচ্যুতি রোগে মনে ভাবে যেন জরায়ু দুর্বল ও কোমল, উপরিভাগে টাটান ব্যাথা, ঐ বেদনা চাপলে উপশম হয়। রোগিণী সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে চায়।
তুলনীয়।— বেলেডোনা – নীচের দিকে চাপ দেয়, মনে হয় যেন যোনিপথ দিয়ে পেটের সমস্ত যন্ত্র বের হয়ে পড়বে, সোজা হয়ে দাঁড়ালে বা সমানভাবে বসলে উপশম হয়। হেলোনিয়াস- জরায়ু অত্যন্ত দুর্বলতার জন্য জরায়ুভ্রংশ, এটা জরায়ুর টনিকের মত কাজ করে রোগ নিরাময় করে। লিলিয়াম-টিগ – জরায়ুর সকল প্রকার স্থানচ্যুতিতেই বিশেষ উপযোগী। যোনিপথ দিয়ে সব বের হয়ে যাবে এমন মনে হয়, বাহ্য স্ত্রীঅঙ্গের উপর হাত দিয়ে চেপে ধরলে উপশম হয়। মিউরেক্স –এটাতেও সমস্ত যন্ত্র যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে যাবে এমন মনে হয় সেজন্য রোগিণীকে দুটি ঊরু চেপে বসতে হয়। স্বামী-সহবাসের ইচ্ছা আদৌ থাকে না।
জ্বরেও এই ঔষধের প্রয়োগ আছে। অতিরিক্ত শীত ও কম্প মনে হয় যেন তার রক্ত জমে বরফ হয়ে গেল। অ্যাকোনাইট, ক্যান্সিকাম এবং ল্যাকেসিস্ জ্বররোগে এই তিনটি ঔষধের ঠিক এই প্রকারের লক্ষণ আছে, ফলতঃ জ্বরে অত্যন্ত শীত ও কম্প এদের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
প্রদর্শক লক্ষণ।— জরায়ুর স্থানচ্যুতি সহ শীত শীত ভাব। ‘সর্বদা শুয়ে থাকতে চায়। শ্বাসক্রিয়া ক্লেশকর। ডান ফুসফুস ও লিভার ছোট এবং কঠিন হয়ে গেছে বোধ হয়। অত্যন্ত ক্ষুধা; মাংস, আচার, মূলা প্রভৃতি খাওয়ার ইচ্ছা। বুক ধড়ফড় করে। পেটে জ্বালা বা বায়ুতে পেট ফোলে, সেইসঙ্গে পেটের উপরদিকে বেদনা। জ্বরে অত্যন্ত শীত ও কম্প।
শক্তি। মূল-অরিষ্ট, ৩x, ৬ ইত্যাদি।