হাইপেরিকাম-পার্ফোলিয়েটাম (Hypericum Perfoliatum)

অপর নাম।-সেন্টজন্স ওয়ার্ট, ব্রাফিউগা-ডিমোনাস।

ব্যবহারস্থল।-স্নায়ুর আঘাতজনিত ধনুষ্টঙ্কার সম্ভাবনা, আছাড় খেয়ে উচ্চস্থান হতে পড়ে গিয়া মেরুদন্ডের নিম্নতম অংশে বেদনা, আঘাতের পর কালশিরা পড়া, বন্দুকের গুলির আঘাত লেগে স্নায়ু আক্রান্ত হওয়া প্রভৃতি।

প্রদর্শক লক্ষণ।-আঘাত লাগবার পর, বিশেষতঃ কোন কোমল তন্তুতে আঘাত লাগার পর অত্যন্ত বেদনা। অপারেশন বা অস্ত্র চিকিৎসার ঠিক পরেই যদি অত্যন্ত যন্ত্রণা হয়। কক্‌সিক্সে আঘাত লাগবার পর যন্ত্রণা। আহত স্থানের বেদনা বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত হয়। ধনুষ্টঙ্কার, বিশেষতঃ আঘাতের পর। কুয়াসাময় দিনে হাঁপানি বাড়ে ও প্রচুর ঘাম হলে হাঁপানি কম হয়। মাথা ভারী মনে হয়। মনে হয় যেন কেউ ঠান্ডা হাত মাথায় রেখেছে। মাথার উপর দপদপ করে। মাথা লম্বা হচ্ছে এমন অনুভব। কোন জন্তুজানোয়ার কামড়ালে। ঝিন ঝিন ব্যথা, অসাড় ভাব। সব সময় ঘুম ঘুম ভাব। হাত ও পায়ে যেন পিপীলিকা চলে বেড়াচ্ছে। হুপিং-কাশি, সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত্রি ১০টা পৰ্য্যন্ত বেশী হয়। অর্শ রোগ। রক্তস্রাব হয়। যন্ত্রণা হয়। টাটায়। দাঁতের যন্ত্রণা। চুপ করে থাকলে বা বেদনার দিকে চেপে শুইলে কষ্ট কম থাকে। গায়ে পেরেক ফুটে যাবার পর। যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রসব করাবার পর যন্ত্রণা হলে। রোগীর মনে হয় যেন কেউ তাঁহাকে শূন্যে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

মন। -হাইপেরিকাম রোগী কিছু লিখবার সময় বার বার ভুল করে। বিকারের ঝোঁকে গান করে, কাঁদে এবং খুব জোরে জোরে চীৎকার করতে থাকে। ভয় পেয়ে কোন রোগ হলে হাইপেরিকাম-ওপিয়াম ও কেলি-ব্রোম তুল্য। অপ্রত্যাশিত শোকজনিত রোগদির ক্ষেত্রে উপযোগী।

আঘাত জনিত রোগ। আঘাত লাগবার পর ও উচ্চস্থান হতে পতনাদির জন্য আর্ণিকা আমাদের শ্রেষ্ঠ ঔষধ। কিন্তু যে সকল ক্ষেত্রে আঘাতের ফলে স্নায়ু, বিশেষতঃ অনুভূতি-প্রধান স্নায়ু নিষ্পেষিত, ছিন্ন ভিন্ন বা আহত হয়ে পড়ে, সেই সকল ক্ষেত্রে হাইপেরিকামকে স্মরণ করা কৰ্ত্তব্য। এটার রোগীর আঘাতাদির ফলে স্নায়ুপথে অত্যধিক যন্ত্রণা হতে থাকে, কোন কোন রোগীর ঐ সঙ্গে আক্ষেপ, টঙ্কার প্রভৃতিও হতে থাকে। সাধারণতঃ পায়ের তলা, অঙ্গুলি, নখের ভিতর প্রভৃতি স্থানে আলপিন, সূঁচ, পেরেক, কন্টকাদি বিদ্ধ হলে বা ঐ সকল স্থানে কোনপ্রকার আঘাতের ফলে পিষে গেলে, যদি অসহনীয় বেদনা হয় তখন হাইপেরিকামই একমাত্র উপযোগী ঔষধ। হাইপেরিকাম যথাসময়ে প্রয়োগ করতে পারলে ধনুষ্টঙ্কার হতে পারে না। কেউ কেউ হাইপেরিকামকে হোমিওপ্যাথিক অ্যান্টি-টিটেনাস সিরাম আখ্যা দিয়ে থাকেন।

আঘাতের জন্য প্রধান প্রধান ঔষধ ঃ-আর্ণিকা-আঘাত লাগবার ফলে সেই স্থানের তন্তুগুলি নষ্ট হয় না, কেবল থেঁৎলাইয়া যায়, ফুলে উঠে, তখন আর্ণিকা উপযোগী। লেডাম-সূঁচ, পেরেক, কাঁটা প্রভৃতি ফুটিলে; মাকড়সা, বোলতা, ভীমরুল অথবা ইঁদুর, ছুঁচো, বিড়ালাদিতে কামড়িয়ে দিলে ব্যবহার্য্য। কিন্তু সব সময় মনে রাখতে হবে, লেডামের আঘাতের ফলে রোগীর যন্ত্রণা ও ব্যথা হয় আর হাইপেরিকামের রোগীর আক্ষেপাদি ভীষণ লক্ষণ আবির্ভূত হয়। রাস-টক্স– মচকানোর উত্তম ঔষধ, এটার আঘাত পেশীতে বেশী অথচ ঐ স্থান কাটে নেই, ছিঁড়ে নেই, কেবল টানা লাগবার ফলে আক্রান্ত পেশী ক্লিষ্ট হয়। ক্যালেন্ডুলা -আঘাতাদির ফলে চামড়া ফেটে গেলে বা সেই স্থানের কতকাংশ নষ্ট হয়ে গেলে অথবা অস্ত্রোপচারের পর ঐ স্থানে পুঁজ হলে, কিম্বা পুঁজোৎপত্তির সম্ভাবনা হলে ক্যালেন্ডুলা ব্যবহাৰ্য্য ঔষধ। ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া -ধারাল অস্ত্র, ক্ষুর বা ছুরিতে কাটিয়া গেলে সেইস্থানে জুড়িবার জন্য অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ; অস্ত্রোপচারের পর ট্র্যাফিসেগ্রিয়া উত্তম কাজ করে। রুটা-অস্থি-আবরণীতে আঘাত লাগলে অর্থাৎ কব্জি, পায়ের গাঁইট, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদিতে আঘাত লাগলে সেটা উত্তম ঔষধ। সিম্ফাইটাম-যদি আঘাত লেগে হাড় ভেঙে যায়, তা হলে এই ঔষধ উপযোগী। এই ঔষধ দ্বারা অনেক ক্ষেত্রে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগিতে দেখা যায়। ক্যাঙ্কেরিয়া-ফসও ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগায়, সাধারণতঃ ক্যাল্কে-ফস, সিম্ফাইটামের পর বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। হাইপেরিকাম-পূর্ববর্ণিত ধনুষ্টঙ্কার আশঙ্কা ব্যতীত রোগী যদি কোন উচ্চস্থান হতে পড়ে যাবার ফলে মেরুদন্ডে বা মেরুদণ্ডের নিম্নাংশে বেদনানুভব করে, সে ঘাড় বা হাত নাড়লেই অসহনীয় বেদনা বোধ করে, এমন-কি অত্যন্ত জোরে চীৎকার করে উঠে, তা হলে উপযোগী।

ধনুষ্টঙ্কার। -আঘাতাদির ফলে (বিশেষতঃ আক্রান্ত স্থান চিমটাইয়া গেলে যদি ধনুষ্টঙ্কার হয় তবে সিম্ফাইটাম উত্তম ঔষধ। অস্থি ভগ্ন হলে, জোড়া লাগাবার জন্য সিম্ফাইটাম যেমন একটি বিশিষ্ট ঔষধরূপে ব্যবহৃত হয়। অস্থিতে আঘাত লাগলে, সেটাতে ক্ষত হলে এবং হুলবেধার মত বেদনা থাকলে, অক্ষিগোলকে আঘাত জন্য বেদনায় (আর্ণিকার মত) সিম্ফাইটাম যেমন একটি ফলপ্রদ ঔষধ, আঘাতজনিত ধনুষ্টঙ্কারেও এটা তেমনি উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সিকুটা-ভিরোসা-এটাও আঘাত জনিত ধনুষ্টঙ্কারে (এবং শিশুদের ক্রিমিজনিত ধনুষ্টঙ্কারেও) একটি মূল্যবান ঔষধরূপে ব্যবহার হয়ে থাকে। এতে শরীর শক্ত হয়, মাথা ও ঘাড় ধনুকের মত পিছনের দিকে বেঁকে যায়, মুখ দিয়ে ফেনা উঠে, ঘনঘন ফিট হয়। ফাইজসটিগ্মা – আঘাতজনিত (আর্ণিকার মত) ধনুষ্টঙ্কারের একটি বিশিষ্ট ঔষধ। সামান্য বাতাসে এমন-কি অন্যের শ্বাস-প্রশ্বাস গায়ে লাগলে রোগের পুনরাক্রমণ হয়। অ্যাঙ্গাষ্টুরা -আহত স্থান পেকে অথবা ক্ষতস্থানের স্রাব হঠাৎ বন্ধ হয়ে ধনুষ্টঙ্কার হলে ব্যবহৃত হয়। আঘাতের জন্য ধনুষ্টঙ্কার। পারদের অপব্যবহারে বিশেষ উপযোগী। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সহজেই অভিভূত হয়ে পড়ে। ট্যাবেকাম-মেরুদন্ড আক্রান্ত হলে এবং সেটাতে আঘাত লাগলে ধনুষ্টঙ্কার উপস্থিত হয়, ঘাড় এবং পিঠ শক্ত হয়ে যায়। এরূপ অবস্থায় ট্যাবেকাম বিশেষ ফলপ্রদ হয়ে থাকে।

মেনিঞ্জাইটিস বা মস্তিষ্কাবরণীর প্রদাহ যদি আঘাতাদির ফলে সাংঘাতিক হয় এবং রোগী যদি গরম পানীয় ও মদ্যাদি পান করতে চায়, পেটে অত্যন্ত ফাঁপ থাকে ও মলত্যাগে উপশম হয়, তা হলে হাইপেরিকাম ব্যবহার্য্য। তুলনীয়।-আর্ণিকা-আঘাতজনিত রোগে বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হতে পারে। মস্তক উষ্ণ কিন্তু শরীর ঠান্ডা। অচৈতন্য, কিছু জিজ্ঞাসা করলে, ঠিক উত্তর দিয়ে আবার তখনি ঝিমাইয়া পড়ে। সিকুটা-ভিরোসা-মস্তকে আঘাত লাগা হেতু রোগ। সেরিব্রো-স্পাইন্যাল মেনিঞ্জাইটিস-মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে, রোগী অজ্ঞান হয়, মাথা এবং ঘাড় পিছনের দিকে বেঁকে যায়, সামান্য গোলমালে বা শব্দে ফিট বেড়ে যায়। এপিস – প্রথম অবস্থায় অনেক সময়ে বিশেষ উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অজ্ঞান অবস্থায় রোগী বালিশে মাথা এপাশ-ওপাশ করে। হঠাৎ চীৎকার করে উঠে। কোনপ্রকার উদ্ভেদ বসে রোগ হলেও এটা ব্যবহৃত হয়। হেলিবোরাস চেতনাশূন্য অবস্থা। রোগীর পিপাসা প্রায়ই থাকে না, অথচ মুখে জলপাত্র ধরলে আগ্রহের সঙ্গে পান করে। মাঢ়ী নাড়ে, মনে হয়, কিছু চিবাচ্ছে। একদিকের হাত ও পা নাড়ে, অপর দিকের হাত-পা অসাড় হয়ে থাকে। রোগী বালিশের উপর মাথা চালে। জিঙ্কাম-মেট-শিশুদের দাঁত উঠবার সময়ের রোগে যেমন উপযোগী, কোনপ্রকার চর্মরোগ বসে রোগের উৎপত্তি হলেও এটা তেমনি উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়। জিঙ্কাম-মেটালিকামে উপকার না হলে, জিঙ্কাম-সিয়ানেটাম বা জিঙ্কাম-সাক্ষও বিশেষ ফলপ্রদ হতে দেখা যায়।

শ্বাসযন্ত্রের রোগ। -এটার হাঁপানি ঠান্ডায় বা অতিরিক্ত হিম পড়লে বেশী হয়। হাঁপানি রোগী অনেকখানি শ্লেষ্মা উঠে গেলে উপশম বোধ করে। হুপিং-কাশি রোগীর কাশির টান সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত্রি ১০টার ভিতর বেশী হয়। হাঁপানি, হাইপেরিকামের মত ঠান্ডায় বৃদ্ধি -অ্যাকোনাইট। ঠান্ডা হাওয়ায় হলে অথবা ঠান্ডা লাগার জন্য হাঁপানিতে বিশেষ ফলপ্রদ। প্রথম অবস্থায় ঘন ঘন ব্যবহার করলে টান শীঘ্র কমে যায়। হৃৎপিন্ডের গোলযোগ হেতু হাঁপানিতেও এটা উপযোগিতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। হিপার-সালফার-এটাও ঠান্ডা হতে জাত হাঁপানিতে বিশেষ ফলপ্রদ। আবার গরমেও হাঁপানির টান বাড়ে, কিন্তু বর্ষায় রোগী ভাল থাকে। এটাই হিপারের বিশেষ প্ৰয়োগ লক্ষণ। (কিন্তু ঠান্ডা আর্দ্র ঋতুতে হাঁপানির বৃদ্ধি-আর্সেনিক, ডাল্কামারা, নেট্রাম-সাল্ফ, রাস-টক্স)। অ্যাকোনাইটের মত শুষ্ক হাওয়ায় বৃদ্ধি। কষ্টিকাম-বুকে এবং স্বরনলীতে বেদনা, স্বরভঙ্গ। সামান্য শ্লেষ্মা যা উঠে, রোগী তুলে ফেলতে পারে না, গিলে ফেলে। ঠান্ডা পানি পানে কাশির উপশম (গরম পানি পানে উপশম-স্পঞ্জিয়া) সেনেগা-ঠান্ডা হাওয়ায় বেড়ালে উপসর্গ বাড়ে এবং ঘর্মের ও মস্তক পিছনের দিকে ও নত করলে উপসর্গের হ্রাস। স্বরভঙ্গ, কাশতে কাশতে বুকে হাঁচি। বুকে ঘড় ঘড় শব্দ (অ্যান্টিম-টার্টের মত)। বৃদ্ধদের ব্রঙ্কাইটিস সহ হাঁপানি। কার্বো-ভেজ-হামের পরে অথবা হুপিং-কাশির পরে হাঁপানিতে বিশেষ উপযোগী। সোরিণাম – শ্বাসকষ্ট সহ হাঁপানি, সোরিণাম জ্ঞাপক হাঁপানির বিশেষত্ব। রোগী বসে থাকলে তার উপসর্গ বাড়ে, শয়ন করে হাত দুটি লম্বা করে ছড়িয়ে দিলে কমে। সোরিণামের রোগী ঠান্ডা মোটেই সহ্য করতে পারে না, ঋতুর পরিবর্তনে বা সামান্য ঠান্ডাতেই তার উপসর্গ বাড়ে। উত্তাপে, গরম ঘরে এবং গরম বন্ত্রে আবৃত থাকলে (এমন-কি গ্রীষ্মকালেও) ভাল থাকে।

হুপিং-কাশি। -ড্রসেরা – হুপিং-কাশির বিশিষ্ট ঔষধ; শয়নের পরেই বাড়ে, আবার রাত্রি দ্বিপ্রহরের পরেও বাড়ে। এটা ব্যতীতও পানি পানে, উষ্ণতায়, গান গাইলে, হাস্য বা ক্রন্দন করলেও কাশি বাড়ে। ঘন ঘন কাশির আবেগ হয়, রোগী শ্বাস ফেলার অবসর পায় না। কেলি-কার্বরাত্রি ২টা হতে ৪টার মধ্যে কাশির বৃদ্ধি। শুষ্ক, আক্ষেপিক কাশি, কাশতে কাশতে বুকে বমন হয়ে যায়। বুকে, পাশে এবং কণ্ঠনালী মধ্যে সূঁচফোটানো ব্যথা। আহারের পরেও কাশি বাড়ে। কক্কাস- সকালে নিদ্রাভঙ্গের পরে কাশির বৃদ্ধি। আঠার মত শ্লেষ্মা, দড়ির মত মুখ দিয়ে লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে (কেলি-বাইক্রমিকার মত)। কোরালিয়াম – মিনিটে মিনিটে কাশি। প্রবল আক্ষেপিক কাশি। কাশতে কাশতে বুকে মুখমন্ডল নীলবর্ণ হয়, রোগী বমি করে ফেলে। অনেক সময়-নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। কক্সিনেলা -প্রবল আক্ষেপিক কাশি। কাশির নিবৃত্তি হলে, মুখ দিয়ে হড়হড়ে লালা বের হয়, দড়ির মত ঝুলতে থাকে (যেমন কেলি-বাই)। রোগীর বক্ষঃস্থল যেন দৃঢ়ভাবে বাঁধা আছে ও সেটার ভিতরটা আড়ষ্ট হয়েছে এরূপ বোধ হয়। পায়ের কড়ায় কেউ কেউ এই ঔষধ ব্যবহার করতে উপদেশ দেন-এটার পায়ের কড়ায় অসহনীয় বেদনা থাকে। পায়ের কড়ার জন্য অ্যান্টিম- ক্রুড, ফেরাম-পিক্রিক, অ্যানাকার্ডিয়াম-অক্সিডেন্টালিস, হাইড্রাষ্টিস প্রভৃতি ঔষধও উপযোগী।

বৃদ্ধি– কুয়াসার সময়, সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত্রি ১০টা পৰ্য্যন্ত; নড়াচড়ায়। ঠান্ডায়; স্পর্শে।

হ্রাস। -প্রচুর গয়ার উঠলে, প্রচুর ঘাম হলে (হাঁপানি); স্থির হয়ে থাকলে (দাঁত); চাপ দিলে; ঘর্ষণে (বাঁ হাতের অসাড় ভাব); দুপুরে (ক্লান্তি)।

শক্তি।-মূল-অরিষ্ট ও ৩, ৬, ৩০ ক্রম। বাহ্যে প্রয়োগেও রোগের ক্রমবৃদ্ধি পায়। পরিস্রুত পানিতে লোশন করে বাহ্যপ্রয়োগ করতে হয় (মূল ঔষধ ১ ভাগ এবং পরিস্রুত পানি ১০ ভাগ)।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!